কলকাতা: গত ১৩ মার্চ বিকেলে হাঁটতে বেরিয়ে খুন হন তপন কান্দু৷ দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর৷ এই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর আচমকা রহস্য মৃত্যু হয় পুরুলিয়ার ঝালদার কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর। ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। এই ঘটনায় এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগে এই মামলার তদন্ত করছিল সিআইডি। তবে আজ এই মামলার শুনানিতে এল নয়া নির্দেশ।
আরও পড়ুন- উত্তেজনার আবহে ভোটের হার কত? পিছিয়ে বালিগঞ্জ
আদালতের নির্দেশে কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় আগেই তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই৷ এরই মধ্যে মৃত্যু হয় প্রত্যক্ষদর্শীর। তিনি চোখের সামনে তপনকে খুন হতে দেখেছিলেন৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল, পেশায় শিক্ষক নিরঞ্জন প্রতিদিন সকাল সকালই ঘুম থেকে উঠে পড়ে টিউশন পড়াতেন৷ কিন্তু যে দিন তাঁর দেহ উদ্ধার হয় সেদিন সকাল থেকেই দেখা যাচ্ছিল না তাঁকে৷ ঘর থেকে না বেরনোয় তাঁকে ডাকতে যান পরিবারের সদস্যরা৷ ঘর খুলতেই দেখেন তাঁর ঝুলন্ত দেহ৷ আজ এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে আদালত প্রশ্ন তোলে, তিনি তপন কান্দু হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তাহলে তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হল না কেন? এদিকে তাঁর ঘর থেকে যে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছিল তা নিয়েও এখন প্রশ্ন একাধিক।
আসলে তপন খুন হওয়ার পর থেকেই বারবার তাঁকে ডেকে পাঠাত পুলিশ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা থানায় বসিয়ে রাখা হত৷ মানসিক ভাবে যন্ত্রণা দিচ্ছিল পুলিশ৷ সেই কারণেই তাঁর ভাই এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে নিরঞ্জনের দাদার দাবি৷ তবে তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর দাবি ছিল, প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হোক। আদালত সেই একই নির্দেশ দিয়েছে।