কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও তা মানছে না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ! এটা কি হচ্ছে? বিশ্বভারতীর আইনজীবীকে তীব্র ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট অধ্যাপিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেতন সংক্রান্ত সমস্যার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশ দেয়, বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির কাছেই এই সংক্রান্ত সমস্যার শুনানি হবে। সেক্ষেত্রে কর্মসমিতির ১৯ জন সদস্যের মধ্যে ন্যূনতম ৬ জন সদস্যকে উপস্থিত থাকতে হবে। তবে আদালতের এই নির্দেশ সত্ত্বেও মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে ফের নোটিশ দিয়ে জানানো হয়, এক সদস্যের কমিটির কাছে বুধবার বিকেল চারটের সময় ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে হাজির হতে হবে শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিশ্বভারতীর এই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আবেদনকারী।
বিচারপতি অমৃতা সিনহা বিশ্বভারতীর আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও সেই নির্দেশ অমান্য করে বিশ্বভারতী কী করে নোটিশ জারি করে। বিচারপতির আরো প্রশ্ন, যেখানে কর্মসমিতির ন্যূনতম সদস্যের কথা নির্দেশিকায় উল্লেখ আছে সেখানে একজন সদস্যের মাধ্যমে কী করে ভার্চুয়ালে ওই শুনানি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বিচারপতির এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি বিশ্বভারতীর আইনজীবী। তিনি আদালতের কাছে সময় চান। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, মঙ্গলবার বিশ্বভারতী যে নোটিশ জারি করেছে, সেই নোটিশের ওপরে স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত। ইতিমধ্যে বিশ্বভারতীকে জানাতে হবে কেন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও তারা এই ধরনের নোটিশ ইস্যু করল। মামলার শুনানি হবে আগামী ১৬ আগস্ট।
আরও পড়ুন- দিলীপে ক্ষুব্ধ কাউন্সিলরের স্বামী! ‘ল্যাম্পপোস্ট’ মন্তব্যে ছাড়তে পারেন দল
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অধ্যাপিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। ২০১৪ সালে তিনি বিশ্বভারতীর সঙ্গীতভবনে মণিপুরী নৃত্যের অধ্যাপিকা হিসেবে কাজে যোগ দেন। সেই সময় তিনি ৫টি বর্ধিত ভাতার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ তাঁকে চারটি বর্ধিত ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজে যোগ দিতে বলে৷ কিন্তু, ২০২০-র জুনে বিশ্বভারতীর কর্মসমিতি সিদ্ধান্ত নেয়, ২০১৪ সাল থেকে ওই অধ্যাপিকাকে যে চারটি বর্ধিত ভাতা দেওয়া হয়েছে, তা কেটে নেওয়া হবে। এর পরেই আইনি পথে হাঁটেন শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়৷