ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যের সমালোচনা হাইকোর্টের! দেওয়া হল কড়া নির্দেশ

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যের সমালোচনা হাইকোর্টের! দেওয়া হল কড়া নির্দেশ

high-court-ssc-case-hearing-commission-faces-question

কলকাতা: রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রথম থেকেই আওয়াজ তুলেছে বিজেপি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনা করেছেন খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এবার এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, কেন্দ্রের মানবাধিকার কমিশন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখবে এবং ঘরছাড়াদের সাহায্য করবে। তাদের জন্য আলাদা কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন- ‘বাচ্চা হলে বুকে চুপ করানো যায়!’ রাজ্যপালকে বেনজির কটাক্ষ মমতার

ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলার শুনানিতে এদিন হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য সরকার হিংসার কথা স্বীকার করে নিয়ে কিন্তু যা প্রমাণ রয়েছে তাতে স্পষ্ট যে হিংসা হয়েছে। নির্বাচনের পর ঘরছাড়াদের ফেরাতে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল তাতে কেন্দ্র এবং রাজ্যের প্রতিনিধিরা ছিলেন, কিন্তু রাজ্যের থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য কেন্দ্র পায়নি বলে জানানো হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই নির্দেশ দেওয়া হয় যে কেন্দ্রের মানবাধিকার কমিশন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখবে এবং রাজ্য সরকারকে তাদের সাহায্য করতে হবে। যদি সাহায্য না করা হয় তাহলে আদালত ব্যবস্থা নেবে রাজ্যের বিরুদ্ধে বলে স্পষ্ট করা হয়। হাইকোর্ট এ দিন আরো জানিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্রকে যদি রাজ্য এই ব্যাপারে সাহায্য না করে তাহলে তার দায় সম্পূর্ণ নিতে হবে তাদেরই। নির্দেশ না মানলে আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে হবে রাজ্যকে। এক কথায় ভোট-পরবর্তী হামলার ইস্যুতে এখন কার্যত অস্বস্তিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

আরও পড়ুন- বাংলা নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে BJP, মানছে না গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, দাবি সুখেন্দু শেখরের

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বিজেপি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে। এদিকে বারংবার একই রকম সুরে রাজ্য প্রশাসনকে আক্রমণ করে গিয়েছেন রাজ্যপাল। এমনকি নিজের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসেছেন এবং রাজভবনে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক পর্যন্ত করেছেন তিনি। পরবর্তী ক্ষেত্রে তিনি দিল্লি গিয়েছেন কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে এবং দেখা করেছেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বক্তব্য, রাজ্যে কোনও হিংসা নেই৷ বাংলায় হারার পরেও তাঁদের লজ্জা নেই৷ তাঁর কথায়, বিজেপি এজেন্সিকে দিয়ে কাজ করায়৷ এটাই ওঁদের স্বভাব৷ এগুলো সবটাই পূর্ব পরিকল্পিত৷ ভোটের পর বাংলায় কোনও অশান্তি হয়নি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × four =