ভোট পরবর্তী হিংসা, মানবাধিকার কমিশনকে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

ভোট পরবর্তী হিংসা, মানবাধিকার কমিশনকে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

high-court-ssc-case-hearing-commission-faces-question

কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় রাজ্য সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, কেন্দ্রের মানবাধিকার কমিশন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখবে এবং ঘরছাড়াদের সাহায্য করবে। তাদের জন্য আলাদা কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে জাতীয় এবং রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন- বাংলা নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে BJP, মানছে না গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, দাবি সুখেন্দু শেখরের

আদালতের বক্তব্য, তাঁরা খুশি নয় যে ভাবে জাতীয় এবং রাজ্য মানাধিকার কমিশন কাজ করছে। নির্বাচন শেষ, প্রতিটা মানুষের অধিকার আছে শান্তিতে বসবাস করা। এটা দেখা রাজ্যের কাজ। রাজ্য প্রথম থেকেই সবকিছু অস্বীকার করছে। কিন্তু রাজ্য লিগ্যাল এইড সার্ভিসের রিপোর্ট অন্য কথা বলছে। বলেন প্রধান বিচারপতি। এক্ষেত্রে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রের মানবাধিকার কমিশন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখবে এবং রাজ্য সরকারকে তাদের সাহায্য করতে হবে। যদি সাহায্য না করা হয় তাহলে আদালত ব্যবস্থা নেবে রাজ্যের বিরুদ্ধে বলে স্পষ্ট করা হয়। আরও জানান হয়েছে, ৩,২৪৩ জন ব্যাক্তি স্টেট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির কাছে বাড়ি ফেরার আবেদন করেছেন। কমিটি যেখানে যাবে সেই ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে। যদি সেটা ন হয়, তাহলে আদালত বিষয়টি গভীর ভাবে দেখবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটি অভিযোগ ভিত্তিতে খতিয়ে দেখবে এবং আদালতকে রিপোর্ট করবে। আগামী ৩০ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি। 

আরও পড়ুন- ‘বাচ্চা হলে বুকে চুপ করানো যায়!’ রাজ্যপালকে বেনজির কটাক্ষ মমতার

হাইকোর্ট এ দিন আরো জানিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্রকে যদি রাজ্য এই ব্যাপারে সাহায্য না করে তাহলে তার দায় সম্পূর্ণ নিতে হবে তাদেরই। নির্দেশ না মানলে আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে হবে রাজ্যকে। এক কথায় ভোট-পরবর্তী হামলার ইস্যুতে এখন কার্যত অস্বস্তিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বক্তব্য, রাজ্যে কোনও হিংসা নেই৷ বাংলায় হারার পরেও তাঁদের লজ্জা নেই৷ তাঁর কথায়, বিজেপি এজেন্সিকে দিয়ে কাজ করায়৷ এটাই ওঁদের স্বভাব৷ এগুলো সবটাই পূর্ব পরিকল্পিত৷ ভোটের পর বাংলায় কোনও অশান্তি হয়নি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *