কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে কত মামলা জমে আছে, সেই সংক্রান্ত যে তথ্য-তালিকা রাজ্য সরকার দিয়েছে, তাতে খুশি নয় ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা রাজ্যজুড়ে এত মামলা পড়ে থাকার প্রকৃত কারণ কী, তা জানাতে হবে রাজ্যকে। নির্দেশ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের বক্তব্য, এত মামলা কী কী কারণে বছরের পর বছর পড়ে রয়েছে তা জানাতে হবে রাজ্য সরকারকে।
মঙ্গলবার হাইকোর্ট বলে, এইভাবে মামলা পড়ে থাকায় বিচার পাচ্ছেন না বিচারপ্রার্থীরা। তাই রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট দেখার পরে হাইকোর্ট তার পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবে। নতুন করে তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। উল্লেখ্য, কোনও মোমলা এক দশক ধরে পড়ে আছে। তাও তদন্ত হচ্ছে না। এমনই অভিযোগ এনে এবং তদন্তে গতি আনতে একটি জনস্বার্থ মামলা স্বতঃপ্রনোদিত ভাবে গ্রহণ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এজলাস। দেখা যায়, অন্তত ৯৯৯ টি মামলা রয়েছে, যেগুলির চার্জশিট সঠিক সময় পেরিয়ে যাবার পরেও জমা হয়নি! অনেক মামলায় চার্জশিট জমা হয়নি, বিভিন্ন ল্যাবের তথ্য জমা হয়নি, এমনকি গ্রেফতারের সংখ্যা ইত্যাদি বিভিন্ন মামলায় কত, রাজ্যের কাছে তাও জানতে চেয়েছিল আদালত।
আরও পড়ুন- প্রার্থী ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে ক্রিমানাল রেকর্ড, সুপ্রিম নির্দেশ
মঙ্গলবার রাজ্যের তরফে একটি তালিকা দেওয়া হয়। সেখানে জানানো হয়, রেজিস্ট্রার জেনারেল যে তালিকা জমা দিয়েছেন সেখানে প্রচুর মামলা ‘বিচারাধীন’ বলা হয়েছে। তবে সেখানে বেশ কিছু মামলার নম্বর উল্লেখ নেই। তাই ডিটেইলস পাওয়া যাচ্ছে না। আবার ড্রাগেন্ড কসমেটিক অ্যাক্টের আওতায় এমন কিছু মামলা আছে যেগুলি রাজ্যের নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। আর এতেই বিরক্ত আদালত। কোর্টের যুক্তি, এই আইনের আওতায় যে মামলাগুলো আছে তা দফতরের হতে পারে। কিন্তু মামলার সংখ্যা কমাতে রাজ্য এর সংখ্যা বলছে না। ফের ১৬ সেপ্টেম্বর রয়েছে এই মামলার শুনানি। বেশ কয়েকটি মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে সোমবার সরাসরি সরকারি আইনজীবীদের দিকে আঙুল তোলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। সোমবার একটি জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, সরকারি আইনজীবীদের ‘উদাসীনতার’ কারণেই পিছিয়ে যাচ্ছে প্রচুর মামলার শুনানি।