কলকাতা: একের পর এক ইস্যুতে হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য৷ একাধিক সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কার্যত হস্তক্ষেপ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ এবারও রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ আদালতের উষ্মা থেকে রেহাই পেল না কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীও। এদিন দুটি পৃথক মামলায় রাজ্য সরকার এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট।
ঠিক কী কারণে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিশ্বভারতী? জানা গেছে, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ আদালত অবমাননার। একটি নির্দিষ্ট মামলায় এক অধ্যাপকের বকেয়া বেতন মেটানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু সে নির্দেশ মানা হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন কর্তৃপক্ষকে ভর্ৎসনা করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন। “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জায়গায় আদালত অবমাননা হতাশজনক”, বলেন তিনি।
এদিন ফের উচ্চ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে রাজ্য সরকারও। পৃথক একটি মামলায় আদালত অবমাননার দায়ে রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেছে হাইকোর্ট। জানা গেছে, রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ব বিদ্যালয়ের এক চিকিৎসকের বেতন সংক্রান্ত এই অভিযোগ উঠেছে। আদালতের নির্দেশ না মানায় রাজ্যের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘‘আদালত অবমাননা হলেই কোর্টে এসে দুঃখ প্রকাশ করে রাজ্য। আদালতে অন্তত পঞ্চশ শতাংশ মামলাই আছে যেগুলি আদালত অবমাননার মামলা। রাজ্য আদালতকে ছেলেখেলা ধরে নিয়েছে।’’
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এক অধ্যাপকের বেতন আটকে দেওয়ায় তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এ বিষয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়কে বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ না মানাতেই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ফের আদালত অবমাননার মামলা করেন অধ্যাপক। একই ঘটনা ঘটে রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও।