ব্রেকিং: গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করা যায় কিনা জানাবে রাজ্য, সময় দিল আদালত

ব্রেকিং: গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করা যায় কিনা জানাবে রাজ্য, সময় দিল আদালত

কলকাতা: আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আদালতে সময় দিল রাজ্য সরকারকে। গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করা যায় কিনা জানাবে রাজ্য। ৬ থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁরা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বৃহত্তর মানুষের স্বার্থে, তাঁদের স্বাস্থ্যের জন্য, সেই বিষয়ে জানাতে হবে। কারণ, বহু চিকিৎসক আক্রান্ত। গঙ্গাসাগর মেলা ১৯৭৬ সালের আইন অনুযায়ী মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেই বিষয়টি আগে নিশ্চিত করতে হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আগামীকাল তাঁরা তাঁদের সিদ্ধান্ত ২ টোর মধ্যে জানাবেন বলে জানা গিয়েছে।

এদিন আদালতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গঙ্গাসাগর মেলা মামলায় চিকিৎসক সংগঠনকে মামলায় পক্ষ করা হয়নি। মামলাকারীর পক্ষ থেকে আইনজীবী জানান, করোনা অতিমারীতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সেফ হোম, ক্যান্টনমেন্ট জোন চিহ্নিত করেছে। গঙ্গাসাগর মেলা দ্বিতীয় বৃহত্তম মেলা যেখানে ৫০ থেকে ৮০ লক্ষ মানুষ আসেন। রাজ্যের মানুষ নয়, বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ আসেন। গত ২৫ ডিসেম্বরের পর থেকে রাজ্যের করোনা গ্রাফ উর্ধমুখী। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে সরকারি, বেসরকারি অফিসে ৫০% ট্রেন বাসে ভিড় নিয়ন্ত্রণ থেকে বেশ কিছু বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ ৯ হাজারের বেশি। এদিকে, শুধু গঙ্গাসাগর নয়, কলকাতায় বিভিন্ন এলাকায় পূর্নার্থীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। যেখানে রাজ্যের আক্রান্তের ৫০ শতাংশ কলকাতায়। সেই প্রেক্ষিতেই বলা হয়েছে, একদিকে রাজ্য সরকার কঠোর বিধিনিষেধ লাগু করছে, অন্যদিকে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিচ্ছে, এটা মানুষের সঙ্গে দ্বিচারিতা করা।

আদালতে আরও জানান হয়, চার ধাম যাত্রা ইতি মধ্যেই বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে কী ভাবে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিল রাজ্য সরকার, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মামলাকারি চিকিৎসক অভিনন্দন মন্ডলের পক্ষের আইনজীবী সৃজিব ভট্টাচার্যের বক্তব্য, গঙ্গাসাগর মেলা শুধু সাধু সন্ন্যাসী আসবেন এমন নয়।সাধারণ মানুষের সাথে প্রচুর শিশুরাও আসবেন তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তাই পরিস্থিতি আরও জটিল হতেই পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *