কলকাতা: কসবা ভ্যাকসিন জালিয়াতির মামলা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। নীল বাতি, লাল বাতি জ্বালিয়ে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কেউ কী ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। একই সঙ্গে কারা কারা নীল বাতি বা লাল বাতির গাড়ি ব্যবহার করেন আগামী ২ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্য সরকারকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, নীল বাতি, লাল বাতি জ্বালানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের যে আইন রয়েছে রাজ্যে তা মানা হচ্ছে না কেন, এই প্রশ্নও ওঠে এদিন আদালতে। এদিকে, কসবা ভ্যাকসিন জালিয়াতির ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি কতদূর? জানাতে চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আগামী শুক্রবার রাজ্য সরকারকে তা জানানোর নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ। বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় সরকারকে যে চিঠি লিখেছিলেন এই ঘটনা সম্পর্কে তার ভিত্তিতেই রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে এই জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডের রিপোর্ট দেওয়ার জন্য। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে চিঠি লিখেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। টিকা নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য ছিল, পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের অনীহায় টিকাকরণ কর্মসূচি অনেক পিছিয়ে পড়ছে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায়। এদিকে টিকা নিয়ে ব্যাপক রাজনীতি শুরু হয়েছে বাংলায়।
আরও পড়ুন- নারদ মামলা: হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি রাজ্যের
অন্যদিকে, এই উত্তেজনার রেশ কাটার আগেই শহরে গ্রেফতার আরও এক ভুয়ো আধিকারিক৷ গতকাল রাতে থিয়েটার রোড এলাকা থেকে ওই ভুয়ো অফিসারকে গ্রেফতার করে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ। উদ্ধার নীল বাতি লাগানো বিলাসবহুল গাড়ি৷ ধৃতের নাম আসিফুল হক৷ তিনি পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার কলিন্স স্ট্রিটের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে৷