কলকাতা: বিধাননগর পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন আছে কি? শুক্রবার আদালতকে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাতে পারল না কমিশন। বরং আদালতের কাছে আরও কিছুটা সময় চেয়ে নিল তারা৷ এদিন নিবাচন কমিশনের তরফে বলা হয়, মুখ্যসচিব, ডিজির সঙ্গে বৈঠকের তথ্য জানতে আরও খানিকটা সময় লেগে যাবে৷ এদিন শুনানির শুরুতেই মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে তাঁরা এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছেন। সেই সঙ্গে বৈঠকের তথ্য আদালতকে জানানোর আর্জিও জানান তিনি। এর পরেই অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে চান প্রধান বিচারপতি৷ তিনি আদালতকে জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ১২ ঘণ্টার মধ্যে বৈঠক করতে বলা হয়েছে কমিশনকে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে, এমনটা উল্লেখ করা হয়নি। ফলে এবিষয়ে কমিশন কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা তাঁর জানা নেই৷
আরও পড়ুন- ‘আরেকবার ২০১৮ হলে ২০১৯ কিন্তু সময়ের অপেক্ষা..’ বিস্ফোরক বার্তা দেবাংশুর
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী সোনাল সিনহা আদালতকে জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মিটিং হয়েছে। শীঘ্রই বৈঠকের সারমর্ম জানিয়ে দেওয়া হবে। এর পরেই প্রধান বিচারপতি কমিশনের উদ্দেশে বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুপস্থিতিতে যদি বিধাননগর ভোট হয় এবং সেখানে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে তার দায় কমিশনারকে ব্যক্তিগতভাবে নিতে হবে। এবিষয়ে তাঁরা যেন চিন্তা ভাবনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নেন।
বৃহস্পতিবার আদালত স্পষ্ট জানায়, ১২ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজি বিধাননগরের সিপির সঙ্গে কথা বলবেন। বিধাননগরের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখবেন তাঁরা৷ সেই মতো মোতাবেক বিকালেই বৈঠকে বসে কমিশন। কিন্তু সেই বৈঠকের সারবক্তা আজ আদালতে প্রকাশ করেনি কমিশন। বৈঠকের তথ্য পরে জানানো হবে বলে এদিন কমিশনের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়।
কমিশনকে আরও একবার সতর্ক করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বি কেয়ারফুল। চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হোক।’ প্রসঙ্গত, বিধাননগরে ভোটের দিন অশান্তির আঁচ করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা। এর পরেই ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিন্তাভাবনা করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এবিষয়ে কমিশনকে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠক করার পরামর্শ দিয়েছিল আদালত।