ভুয়ো ৯৫২ শিক্ষকদের স্কুল ও বাবার নাম চাই! SSC-কে নির্দেশ বিচারপতির

ভুয়ো ৯৫২ শিক্ষকদের স্কুল ও বাবার নাম চাই! SSC-কে নির্দেশ বিচারপতির

কলকাতা: ৯৫২ জনের ওএমআর শিট প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু সেখানে প্রার্থীর বাবার নাম এবং যে স্কুলে তাঁরা চাকরি করছেন সেই স্কুলের নাম উল্লেখ ছিল না। এই ইস্যুতে বড় নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নতুন করে তাঁর নির্দেশ, ৯৫২ জন শিক্ষকের নাম ও রোল নম্বর ছাড়াও তাঁদের বাবা এবং স্কুলের নাম প্রকাশ করতে হবে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই কাজ করতে হবে বলে নির্দেশ। ওইদিনই মামলার পরবর্তী শুনানি।

আরও পড়ুন : অভিষেক-শ্যালিকার বিদেশযাত্রায় হাইকোর্টের ‘না’, সিঙ্গেল বেঞ্চে রায় বহাল

বৃহস্পতিবারই স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকা নিয়ে আরও একবার ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নবম-দশমের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি পর্বে তাঁর মন্তব্য ছিল, “আদালতের নির্দেশের পরেও স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাজ দেখে আমি আশ্চর্য হলাম। ওএমআর শিট প্রকাশ করতে বলা হয়েছিল। সেখানে কেন প্রার্থীর রোল নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে? কেন এই ঘোমটা?” এই প্রশ্নও তোলেন তিনি। এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের সচিবকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। যদিও কমিশনের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, ওয়েবসাইটে যান্ত্রিক সমস্যা ছিল।

উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নবম-দশমের ৯৫২ জন চাকরিপ্রার্থীর উত্তরপত্র প্রকাশ্যে আনার জন্য এসএসসিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মতোই কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে উত্তরপত্রগুলি আপলোড করে। কিন্তু তা সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়নি। উল্টে উত্তরপত্র দেখার জন্য পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর ও জন্ম তারিখ চাওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ফের প্রকাশ করতে হবে প্রতিটি প্রার্থীর নাম-নম্বর! নির্দেশ পেল SSC

ফের প্রকাশ করতে হবে প্রতিটি প্রার্থীর নাম-নম্বর! নির্দেশ পেল SSC

কলকাতা: এসএসসি’কে ফের প্রকাশ করতে হবে প্রতিটি প্রার্থীর নাম ও প্রাপ্ত নম্বর। যাদের অতিরিক্ত প্রার্থী হিসেবে ডাকা হয়েছে তাঁদেরও। একই সঙ্গে এও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, যাদের ডাকা হয়েছিল তাদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ দেওয়া হয়েছে কিনা, সেটা বলতে হবে। আগামী ১৬ অগাস্টের মধ্যে এই তথ্য জানাতে হবে আদালতকে। ১৮ অগাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি। এই নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি আদালত আরও জানিয়েছে, এসএসসি ডেটা রুম শর্তসাপেক্ষে খোলা যেতে পারে, তবে সিবিআই এবং এনআইসি’র উপস্থিতিতে।

আরও পড়ুন- রহস্যজনক ভাবে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উধাও চারটি গাড়ি! খোঁজ শুরু করল ED

অভিযোগ উঠেছে, ২০১৬ প্রথম SLST-তে আইন ভেঙে অতিরিক্ত সংখক প্রার্থীদের পার্সোনালিটি টেস্টে ডাকা হয়েছিল। যদিও আদালত মনে করছে, প্রতিটি বিষয়ে অতিরিক্ত প্রার্থীদের ডাকা হয়েছে, এটা হওয়া কঠিন। তবে এই প্রেক্ষিতে নয়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ডেটা রুম এখনই এসএসসির হতে তুলে দেওয়া যাবে না। তবে অন্য আদালতের নির্দেশ থাকলে সিবিআই ও এনআইসি প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ডেটা রুম ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু ৩ দিনের বেশি সে কাজের জন্য তাদের বরাদ্দ করা যাবে না। এদিকে, কম নম্বর পাওয়া সত্বেও বিশ্বজিৎ বিশ্বাসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কেন, এর কারণ ব্যাখ্যা করে হলফনামা দিতে হবে ১৬ আগস্টের মধ্যে, নির্দেশ আদালতের।

এদিকে আবার আন্দোলনকারীদের বার্তা দিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন,  ঘরে বসে বিপ্লব হয় না! গান্ধী মূর্তির পাদদেশে থাকা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। হাতে মোমবাতি নিয়ে মিছিলে করলে আর একটা মেসেজ করে ছেড়ে দিলেই বিপ্লবী হয়ে যাওয়া যায় না। রাস্তায় নামতে হবে, আন্দোলন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, এখন স্যোশাল মিডিয়ার অপব্যবহার করে হচ্ছে। চাকরি না পেলেই অভিযোগ। কত জন অবস্থান করছেন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে, কী কারণে আন্দোলন করছেন তা তিনি জানেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *