কলকাতা: পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেয় ইডি। সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হতে পারেনি কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই রিপোর্টে নতুন কিছুই নেই! উলটে, ‘ধমক’ দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে যে তদন্তের গতি এত কম কেন। সুতরাং বলা যায়, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ফের একবার আদালতে মুখ পুড়ল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। এর আগে একাধিকবার প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে সিবিআইকে। এবার ইডিও তালিকায় যুক্ত হল।
এদিন ইডির রিপোর্ট পাওয়ার পর বিচারপতি সিনহা মন্তব্য করেন, রিপোর্ট একেবারেই সন্তোষজনক নয়! রিপোর্টে নতুন কী রয়েছে তা পরিষ্কার নয়। যদিও ইডির আইনজীবীর যুক্তি, এই মামলায় মূল তদন্ত করছে সিবিআই। তাই ওই সংস্থার তদন্তের গতিপ্রকৃতির ওপরই তাদের পদক্ষেপ নির্ভর করছে। ফলে ইডির দাবি অনুযায়ী সমস্যা থেকে যাচ্ছে কারণ আজ সিবিআইয়ের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তারা দেয়নি। তারা আরও সময় চেয়েছে। তাই কলকাতা হাইকোর্ট কড়া নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, আগামী ১৪ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ED | Avishek Banerjee | ইডির তলবের পরিপ্রেক্ষিতে কার্যত মুখের উপর ‘না’ বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।” width=”853″>
বিষয় হল, দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর পুরসভা দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসে। জানা যায়, কলকাতা ছাড়াও একাধিক পুরসভায় মোটা অঙ্কের দুর্নীতি হয়েছে। অয়নের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিটও পায় তদন্তকারী সংস্থা। এরপরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই মামলা পরে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এলেও আগের নির্দেশই বহাল আছে।