কলকাতা: ডিএ নিয়ে এখন অস্বস্তিতে আছে রাজ্য সরকার। আদালতের নির্দেশ মেনে এখনও ডিএ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এদিকে কর্মচারীদের মধ্যে আরও বেশি ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। এই আবহে ডিএ-র দাবিতে মিছিলের ভাবনা নেওয়া হয়েছে এবং তার অনুমতি চাইতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারীরা। সেই শুনানিতে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
আরও পড়ুন- ‘সরকারের ভূমিকা ঠিক থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর কাজের প্রশংসা করব’, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
আগামী ২৭ জানুয়ারি সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে কর্পোরেশন পর্যন্ত মিছিল করতে চেয়ে আবেদন করা হয় আদালতে। সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, মিছিল করা যাবে। কিন্তু মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেছিলেন তাঁদের ধর্মতলার আমিনিয়ার সামনে বসতে দেওয়া হোক। সেই অনুমতি দেয়নি আদালত। তার জায়গায় শহিদ মিনারে অবস্থানে বসার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে, রোজ শহিদ মিনার চত্বর পরিষ্কার করার দায়িত্ব অবস্থানকারীদের।
ডিএ-র দাবিতে বহু সময় ধরেই পথে নেমেছে সরকারি কর্মচারীরা। আন্দোলন আরও মজবুত করতেই আগামী ২৭ জানুয়ারি সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে কর্পোরেশন পর্যন্ত মিছিল করার কথা ভাবা হয়েছে। তবে অভিযোগ উঠেছিল যে, মিছিলের অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। সেই প্রেক্ষিতেই আদালতের দারস্থ হয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কলকাতা হাই কোর্ট থেকে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। শেষ শুনানিতে শীর্ষ আদালতে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙভি। তিনি বলেছিলেন, “বকেয়া ডিএ মেটাতে হলে রাজ্যের ঘাড়ে বিরাট আর্থিক বোঝা চাপবে।” এই বিষয়টি পুনর্বিবিবেচনা করার আর্জিও জানান তিনি।