ভয়ভীতি মুক্ত নির্বাচন করতেই হবে কমিশনকে, একগুচ্ছ নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

ভয়ভীতি মুক্ত নির্বাচন করতেই হবে কমিশনকে, একগুচ্ছ নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

d6eb2f15f44413f6f0d6edbc5b28c908

কলকাতা: আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশের পাশাপাশি বেশ কিছু ক্ষেত্রে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে কমিশনকে। আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, ৮ জুলাই ভোটাররা যাতে হাসি মুখে ভোট কেন্দ্রে পৌঁছতে পারে এবং তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেই ব্যবস্থা কমিশনকে করতেই হবে। একই সঙ্গে আদালতের বার্তা, ভয়ভীতি মুক্ত করতে হবে নির্বাচন, মানুষ যাতে অংশগ্রহণ করতে পারেন সেটাই কাম্য।  

ভোট ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযোগ করে এসেছে বিরোধী দলগুলি। এছাড়া কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয় নিয়েও একাধিক দাবি করা হয়েছে। সেই নিয়েও আজ বড় নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আইনজীবী গুরু কৃষ্ণমূর্তি আবেদন করেছিলেন যে, ব্যালট পেপারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নজরদারির প্রয়োজন। DC,RC থেকে ভোট কেন্দ্র এবং ভোটের পরে স্টং রুমের ভেতর এবং বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটকেন্দ্র থেকে গণনাকেন্দ্র এবং গণনা পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হবে বলে আদালতে আবেদন করেছিল বিজেপিও। এছাড়া ছিল জেলা ভিত্তিক বাহিনী মোতায়নের আর্জি। আদালত জানিয়েছে, আইজি বিএসএফ এই বিষয়টির বিবেচনা করবেন।

অন্যদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে আদালত জানিয়েছে, ব্যালট পেপার যাতে ছিনতাই বা চুরি না হয় তার নিরাপত্তার জন্য যে গাড়ি ব্যবহার করা হবে তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হবে। গত বিধানসভা নির্বাচনে পরবর্তী ঘটনা মাথায় রেখে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আর ভোট পরবর্তী সময়ে মানুষ যাতে নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগেন সেটাও কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে। কমিশনের দাবি, তারা ভোটের জন্য প্রস্তুত। 

তবে ভোটের আগে নির্ধারিত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পোঁছবে কিনা সে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সংশয় প্রকাশ করেন। তবে আদালতের বক্তব্য, চেষ্টা করুন যাতে আগামীকাল সন্ধ্যের মধ্যেই সমস্ত বাহিনী পৌঁছে যায়। সলিসিটার জেনারেল জানিয়েছেন তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন যাতে সময় মতো বাহিনী পৌঁছে যেতে পারে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *