লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিল হাইকোর্ট

লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিল হাইকোর্ট

কলকাতা: ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেটের সংরক্ষিত বিভাগের যারা ১৫০ নম্বরের মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছে সেইসব অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার ২১ জন অনুত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীকে সুযোগ দিয়েছিল আদালত। তবে শুক্রবার জানান হয়েছে, এই সংরক্ষিত বিভাগের প্রায় এক লক্ষ অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। ফর্ম পূরণ করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-আবেদন খারিজ, টেট চাকরিপ্রার্থীদের গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসার অনুমতি দিল না হাই কোর্ট

আসলে গত দু’টি টেটের অনেক পরীক্ষার্থীর ভাগ্য ঝুলে ছিল অঙ্কের হিসেবে। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী টেট পরীক্ষায় সংরক্ষিত প্রার্থীদের ৫৫ শতাংশ এবং সাধারণ প্রার্থীদের ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। যারা মামলাকারী, তারা সবাই সংরক্ষিত প্রার্থী এবং প্রত্যেকেই ১৫০ নম্বরের মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছেন। হিসেব বলে, এই ৮২ নম্বর পাওয়া মানে ৫৪.৬৭ শতাংশ। অর্থাৎ, নিয়ম অনুযায়ী ৫৫ শতাংশ হচ্ছে না। অর্থাৎ ১ নম্বর বেশি হলে তা ৫৫ শতাংশ ছাড়াত। তাই পর্ষদ সংরক্ষিতদের জন্য ৮২-র পরিবর্তে ৮৩ নম্বর ধার্য করে।

যদিও পরে মামলাকারীদের আইনজীবী দাবি করেন, জাতীয় শিক্ষক শিক্ষণ পর্ষদ জানায়, ৮২ নম্বর হলেই যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তাই একটা জটিলতা সৃষ্টি হয় যে কোন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ না কে অনুত্তীর্ণ। এই প্রেক্ষিতেই দু’টি টেটের লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীকে ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার সুযোগ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলা প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না, কিন্তু যদি দেখেন গুরুতর অভিযোগ আসছে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই হস্তক্ষেপ করবেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 2 =