কলকাতা: বিজয়া মানেই মিষ্টি মুখ৷ বিজয়া মানেই সিঁদুর খেলা৷ মায়ের বিদায়বেলায় বাঙালি বধূরা মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়৷ তবে করোনা আবহে সেই উৎসবে লাগল বিধি নিষেধের কাঁটা৷ সিঁদুর খেলা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ এদিন হাইকোর্ট জানিয়েছে, সিঁদুর খেলায় অংশ নিতে হলে নিতেই হবে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ৷ মণ্ডপে ঢোকার আগে দ্বিতীয় ডোজের সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক৷ বৃহস্পতিবার এই উল্লেখযোগ্য নির্দেশ দেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন- তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করছে অজুর্ন সিং, বিস্ফোরক দাবি নির্মলের
এদিন বিচারপতি বলেন, ডবল ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে পুষ্পাঞ্জলি ও সিঁদুর খেলার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া যেতেই পারে। তবে করোনা আবহে এবারও পুজো মণ্ডপে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকছে৷ রাস্তা থেকেই করতে হবে প্রতিমা দর্শন৷ সিঁদুর খেলা, অঞ্জলি সহ যাবতীয় উপাচার করবেন পুজো উদ্যোক্তারাই৷ বড় প্যান্ডেলের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৬০ জন এবং একসঙ্গে ৪৫ প্রবেশ করতে পারবেন৷ ছোট প্যান্ডেলের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ১৫ জন এবং একসঙ্গে ১০ জন প্রবেশ করতে পারবে৷ তবে পুজো কমিটির সদস্যদের নামের তালিকা আগেই বাইরে ঝুলিয়ে দিতে হবে৷
পাশাপাশি আরও বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়া থাকলেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক৷ কোনও ভাবে এই সকল নিয়ম লঙ্ঘন করা হলে পুজার অনুমতি বাতিল করতে পারবে পুলিশ৷ নবান্নের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, মণ্ডপের ভিতরে স্বেচ্ছাসেবকদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখতে হবে৷ দর্শনার্থীদের জন্যেও পর্যাপ্ত ফেস-মাস্কের ব্যবস্থা রাখতে হবে পুজো কমিটিগুলিকে৷
উল্লেখ্য, গত বছরও করোনা আবহে রাজ্যের সর্বত্র পুজো-মণ্ডপে দর্শকদের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই বিধিনিষেধে সুফল মিলেছিল, এই দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জনৈক অজয়কুমার দে। আগের বছরের নির্দেশ এবছরও বহাল রাখার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানান তিনি।