কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে বেসরকারি স্কুলের ফি মকুবের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিভাবকরা। অভিভাবকদের আবেদনের ভিত্তিতে বিশেষ কমিটি গঠন করল হাইকোর্ট। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের নেতৃত্বাধীন এই কমিটির গঠন করা হয়েছে৷ ওই কমিটিতে রয়েছেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন প্রধান গোপা দত্ত। বেরসরকারি স্কুলগুলির আয় ও ব্যয়ের হিসেব খতিয়ে দেখার পর বেতন মকুবের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- বিশ্বভারতী-তাণ্ডবের পিছনে টাকার খেলা? তথ্য সংগ্রহে ইডি!
হাইকোর্ট মামলার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, আগামী ২৯ অগাস্টের মধ্যে রাজ্যের ১১২টি বেসরকারি স্কুলকে তাদের আয়ব্যায়ের হিসাব দিতে হবে। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই ও ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের আয় ব্যয়ের হিসেব দিতে হবে। ভুল হলে, সংশোধন করার জন্য ৩১ অগস্ট পর্যন্ত সময় পাওয়া যাবে বলে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে। কমিটির সঙ্গে বেসরকারি স্কুলগুলির কথপোকথন চলবে ইমেলের মাধ্যমে। একটি ইমেল আইডি গঠন করা হয়েছে। দুই সদস্যের কমিটি শুধু ওই ইমেল আইডি ব্যবহার করতে পারবেন। ওই দুই সদ্যকে হলফনামা আকারে আদালতে সমস্ত তথ্য পেশ করতে হবে।
আরও পড়ুন- সরকারি কর্মচারী সংগঠনে উধাও অধিকারীর আধিক্য! তৃণমূলের কমছে গুরুত্ব!
আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, সেই আয় ও ব্যয়ের হিসেব কমিটি নিজেদের পছন্দের কোনও চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টকে দিয়ে করাতে পারবেন। এজন্য কর্মীর প্রয়োজন হলে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের সঙ্গে দেখা করতে হবে কমিটির সদস্যদের। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ধার্য করা হয়েছে। অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন, করোনা আবহে আনলাইনে ক্লাস হলেও বেশ কিছু স্কুল সম্পূর্ণ বেতন নিচ্ছে। কিন্তু টিউশন ফি ছাড়া আর কিছু খরচ দেওয়া হবে না বলে দাবি তুলেছেন অভিভাবকরা৷