কলকাতা: বাসের রুট নিয়ে সমস্যা। ব্যবসায়ী এবং আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ ছিল। সেই মামলাতেই এক বাস মালিককে দু’লক্ষ টাকা জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে যে বাস দুটি নিয়ে সমস্যা, সে দুটিকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এবং বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটকে। ঠিক কী ঘটনা?
আরও পড়ুন- নাচতে নাচতে পাল্টি খেলেন স্থূলকায় মহিলা, চাপা পড়ল খুদে! শোরগোল পার্টিতে, ভাইরাল ভিডিয়ো
আসলে মামলাকারি হলেন বিশেষভাবে সক্ষম বাস মালিক কল্পনা হালদার। তার দুটি অত্যাধুনিক বাস রয়েছে, যেটি পুরুলিয়া ঝালদা থেকে রওনা দেয় এবং কলকাতায় ধর্মতলা পর্যন্ত আসে। রাতেও এই বাস দুটি পরিষেবা দেয়। এদিকে সাধন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক বাস মালিকেরও দুটি বাস রয়েছে। সেই বাসের রুট হল পুরুলিয়া ঝালদা থেকে করুণাময়ী পর্যন্ত। কিন্তু অভিযোগ, সাধন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি বাস পুরুলিয়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত স্টপেজ দিয়ে তারপরে সেটি করুণাময়ীতে পৌঁছে যায়। যে কারণে কল্পনার ব্যবসায়ী এবং আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। মামলাকারি জানিয়েছেন, সাধনের বিরুদ্ধে পরিবহন দপ্তরে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি এব্ং তার প্রেক্ষিতেই ২০১৫ সালে এক বছরের জন্য তার দুটি বাসের পারমিট বাতিল করে দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরেও নাকি থামেননি তিনি। ফের পুরুলিয়া ঝালদা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত রাত্রি পরিষেবার বাস চালান সাধন। অগত্যা কল্পনা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
এই মামলার শুনানিতেই আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, সাধনের যে দুটি বাস ঝালদা থেকে করুনাময়ী পর্যন্ত চলাচল করে, সেটা যাতে ধর্মতলায় না দাঁড়ায়। কিন্তু সেই নির্দেশও অমান্য করেন সাধন। অবশেষে এদিনের শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাকে স্পষ্ট বলেন, জেলে যান নয়তো আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিন। সেই ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হন সাধন তবে ৪-৫ দিন সময় চান। তবে বিচারপতি সময় দিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে বলেন এবং নির্দেশ দেন, রেজিস্টার জেনারেলের কাছে এই টাকা দিতে হবে। তবে সাধনের আইনজীবী অনুরোধ করেন পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা না করে যাতে দু’লক্ষ টাকা করা হয়। রাজি হন বিচারপতি। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।