বন্যপ্রাণ সুরক্ষায় ‘শিকার উৎসবে’ নয়া নির্দেশ হাইকোর্টের

কলকাতা: গত বছর ‘শিকার উৎসব’ শুরু হওয়ার একদিন আগে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য প্রশাসনকে বন্যপ্রাণ হত্যা প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিল। যাতে বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইনের মর্যাদা রক্ষিত হয়। আগামী মে মাসে ফের সেই উৎসব হবে। তার আগে রাজ্যের শীর্ষ আদালত প্রশাসনকে এনিয়ে সতর্ক বার্তা দিল। যাতে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও মুর্শিদাবাদে এই উৎসবের হাত

বন্যপ্রাণ সুরক্ষায় ‘শিকার উৎসবে’ নয়া নির্দেশ হাইকোর্টের

কলকাতা: গত বছর ‘শিকার উৎসব’ শুরু হওয়ার একদিন আগে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য প্রশাসনকে বন্যপ্রাণ হত্যা প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিল। যাতে বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইনের মর্যাদা রক্ষিত হয়। আগামী মে মাসে ফের সেই উৎসব হবে।

তার আগে রাজ্যের শীর্ষ আদালত প্রশাসনকে এনিয়ে সতর্ক বার্তা দিল। যাতে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও মুর্শিদাবাদে এই উৎসবের হাত ধরে হাজার হাজার বন্যপ্রাণের হত্যালীলা বন্ধ করা যায়। ওই পাঁচ জেলার জেলাশাসক থেকে শুরু করে বিডিও স্তরের প্রশাসনিক অফিসারদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন রাজ্যের মুখ্য বনপাল বা চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেনকে এই প্রসঙ্গে যথাযথ সহযোগিতা করেন।

গত বছর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘হিউম্যান অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট অ্যালায়েন্স লিগ’ আদালতকে জানিয়েছিল, ‘ফলহারিনী কালীপুজো’ উপলক্ষে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ইত্যাদি জেলার আদিবাসীরা শিকার উৎসবে নামতে চলেছে। আদিবাসীদের সঙ্গে গ্রামের বহু সাধারণ মানুষও এই সুযোগে বিভিন্ন সংরক্ষিত প্রাণীকে হত্যা করে থাকে। যা পরিবেশের পক্ষে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। তাছাড়া আদিবাসীরাও বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করতে পারেন না। প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে ইচিবাচক ভূমিকা না নেওয়ায় শিকার উৎসবের নামে অবাধে বন্যপ্রাণ হত্যালীলা চলছে। সংস্থাটি চেয়েছিল, সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের বলা হোক, তাঁরা যেন আইন রক্ষায় উপযুক্ত পদক্ষেপ নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 5 =