কলকাতা: চার বছরেরও কার্যকর হয়নি হাই কোর্টের নির্দেশ৷ প্রাথমিক টেটে ভুল প্রশ্ন মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে এবার সশরীরে এজলাসে হাজিরার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ আগামী সোমবার বেলা ১১টায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজিরা দিতে হতে তাঁকে৷
আরও পড়ুন- ‘নিয়মকানুন জানেন না’, কৃষ্ণের অভিযোগ ইস্যুতে দেবশ্রীর পাশে দিলীপ
এই মামলায় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাঁরা টেটে ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন (ভুল হোক বা ঠিক) তাঁদের ১ নম্বর করে দিতে হবে এবং ওই নম্বর পাওয়ার পর কেউ চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে নিলে, তাঁকে চাকরিও দিতে হবে৷ উল্লেখ্য, প্রাথমিক টেটে ‘৬টি ভুল প্রশ্ন’ মামলায় বিষয়টি বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের দিয়ে খতিয়ে দেখা হয়৷ এর পর ২০১৮ সালে উপরোক্ত নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট৷ এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে ও পরে দু’বার সুপ্রিম কোর্টে যায় পর্যদ। কিন্তু সর্বত্রই সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখা হয়৷ এর পরেও পর্ষদ নিজের মতো যুক্তি খাড়া করে বহু যোগ্য প্রার্থীকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড গার্ডেন রিচে, কালো ধোঁয়ার ঢেকে গিয়েছে এলাকা
ভুল প্রশ্নের ভিত্তিতে প্রার্থীদের নম্বর না দেওয়ায় হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করা হয়৷ শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর রায়ে বলেন, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্য নম্বর দেওয়া হয়নি। যা হেনস্থার সমান। এর জন্য ১৯ জন মামলাকারীকে জরিমানা হিসেবে ২০ হাজার টাকা করে দিতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে। উনি নিজের পকেট থেকে সেই টাকা দেবেন। সঙ্গে প্রাপ্ত নম্বরও দিতে হবে তাঁদের। সেই নম্বর পাওয়ার পর প্রার্থীরা পাশ করলে শংসাপত্র দিয়ে দ্রুত ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকতে হবে মামলাকারীদের৷