high court
কলকাতা: পুলিশের কনস্টেবলের চাকরিও দুর্নীতির বাইরে নয়। এই পদে নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি ওঠে এবং মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। সেই মামলায় বিরাট সিদ্ধান্ত নিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের অভিযোগ ছিল, মেধা তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায় বেশ কিছু অনিয়ম রয়েছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এখন নিয়োগের নতুন প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে আদালত।
কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে অভিযোগ করা হয়েছে, চাকরির ইন্টারভিউয়ের আগেই কিছু পরীক্ষার্থীর হোয়াটসঅ্যাপে গোপন তথ্য চলে গিয়েছিল। কারা ইন্টারভিউ বোর্ডে থাকবেন, কারা প্রশ্ন করবেন, এমনকি কী প্রশ্ন হবে, সেটাও নাকি তারা আগে থেকেই জেনে গিয়েছিলেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পুলিশ কনস্টেবল পদের কিছু চাকরিপ্রার্থী। তারা চ্যালেঞ্জ করেছিল ৮ হাজার ৪১৯ জন পুলিশ কনস্টেবলের নিয়োগকে। সেই মামলার ভিত্তিতে এই হাইকোর্টের এই নির্দেশ আসায় মনে করা হচ্ছে কয়েকশো চাকরি চলে যেতে পারে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ প্যানেল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ৮ হাজারের বেশি পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
এই নিয়োগ প্রক্রিয়া ২০১৯ সালে শুরু করা হয়েছিল। প্রথম মেধা তালিকাটি প্রকাশ করা হয় ২০২১ সালের মার্চ মাসে, দ্বিতীয়টি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। কিন্তু বুধবার কলকাতা হাইকাের্ট এই দ্বিতীয় তালিকাটি খারিজ করে প্রথম তালিকাটিকে মান্যতা দিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে দ্বিতীয় তালিকায় চাকরি পাওয়া কনস্টেবলদের চাকরি যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।