কলকাতা: রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাই যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। নেতাইয়ে ঢোকার আগে পুলিশি বাধা এবং কাঁথিতে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় এই হলফনামা চেয়েছে আদালত। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে হলফনামা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।
আদালত আজ জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশ আর সিআরপিএফকে যৌথ বৈঠক করে নিরাপত্তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। এদিকে, এডভোকেট জেনারেল বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে কথা বলে শুভেন্দুর নিরাপত্তা নিয়ে কী কী করা যায়, সেই বিষয়গুলি হলফনামার মাধ্যমে আদালতকে জানাবে। ইতিমধ্যে শুভেন্দুর আইনজীবীর কোনও প্রস্তাব থাকলে সেই প্রস্তাবের বিষয়টিও রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি। পাশাপাশি আরও জানান হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীর মিছিল এবং মিটিং সংক্রান্ত বিষয় এডভোকেট জেনারেল বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে কথা বলবেন এবং তাঁর মিছিল-মিটিং যাতে বন্ধ না হয় সে ব্যাপারে যৌথভাবে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। তবে রাত ৮ টা পর তাঁর বাড়ির সামনে মাইক বাজিয়ে কোনও সভা করা যাবে না।
এদিকে কেন শুভেন্দু অধিকারীকে সেদিন নেতাই যেতে দেওয়া হয়নি সেই ব্যাপারে জানিয়েছেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যেদিন শুভেন্দু সেখানে যেতে চেয়েছিলেন সেদিন নেতাই-কাণ্ডে নিহতদের এক জনের বাড়িতে ‘অন্য পক্ষের’ প্রতিনিধিরা ছিল। তাই তিনি গেলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারত। সেই কারণে তাঁকে আটকানো হয়েছিল। উল্লেখ্য, গতকালই নেতাই ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ডেডলাইন দিয়েছেন রাজ্যপাল। দিনের মধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইস্যুতে জবাব দিতে হবে রাজ্যের মুখ্যসচিভ হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদিকে। কেন শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাইয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়, তা জানাতে হবে। যদি তা অমান্য হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে শাসকের আইন চলছে, আইনের শাসন নয়। এমনটাই জানান তিনি।