কলকাতা: কোভিড আবহে পুরভোট চার থেকে ছয় সপ্তাহ পিছনো যায় কি? চার পুরনিগমের ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের৷ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন- বিষাদময় পৌষ পার্বন, আলিমুদ্দিনের নির্দেশে দোমোহনিতে ঝাঁপাল রেড ভলেন্টিয়ার্স
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ৷ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার জানায়, করোনা পরিস্থিতি ভোট করানো যায় কি না, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করুক কমিশন। এই সময় ভোট হলে তা কি মানুষের স্বার্থে হবে? এই পরিস্থিতিতে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট কি সম্ভব হবে? এই দুটি বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিক কমিশন৷ নির্বাচন কমিশনের হাতেই ভোট পিছনোর ক্ষমতা আছে৷ জানাল কলকাতা হাইকোর্ট৷ এদিন পরিসংখ্যান দিয়ে বলা হয়, চলতি মাসের ৯ তারিখ রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ছিল সর্বোচ্চ৷ একদিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৫ হাজার মানুষ৷ সংক্রমণের এই সংখ্যা উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে আদালত৷
সেই সঙ্গে গতকাল একটি প্রশ্ন উঠেছিল, নির্বাচন পিছনোর ক্ষমতা কার হাতে? রাজ্য সরকার না রাজ্য নির্বাচন কমিশনের৷ রাজ্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছিল, ভোট ঘোষণা হয়ে গেল ভোট পিছোনের ক্ষমতা থাকে একমাত্র কমিশনের হাতে৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ভোট করানো সম্ভব নয় বলে ঘোষণা করা হলে একমাত্র সে ক্ষেত্রেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে ক্ষমতা থাকে৷ কিন্তু এদিন আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় ভোট পিছনোর ক্ষমতা একমাত্র রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতেই রয়েছে৷ কমিশন চাইলে ভোট পিছনোর জন্য পদক্ষেপ করতে পারেন৷
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধাননগরে পুরভোট পিছনোর আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন সমাজকর্মী বিমল ভট্টাচার্য। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য শুনানির সময় বলেছিলেন, রাজ্যের ওই চার পুরনিগমের মেয়াদ আগেই শেষ হয়েছে, রাজ্য সরকার নিযুক্ত প্রশাসকেরা কাজ চালাচ্ছেন। ফলে এখন ভোট না হলেও সাংবিধানিক সঙ্কটের প্রশ্ন নেই।
সম্প্রতি হাই কোর্ট রাজ্যের সঙ্গে সহমত হয়ে গঙ্গাসাগর মেলায় ছাড়পত্র দিয়েছে। মামলাকারীর আর এক আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিথি-নক্ষত্র মেনে সাগরমেলার আয়োজন করতে হয়। কিন্তু পুরভোটের ক্ষেত্রে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।