কলকাতা: এসএসসির নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই বেশ কয়েক মাস হল তদন্ত শুরু করেছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর তদন্তভার নিয়ে তারা একাধিক গ্রেফতারিও করেছে। এদিকে বহু শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে, অনেক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের পথে। তবে মেধা তালিকার ওপরে থাকা প্রার্থীদের কী অবস্থা? তা নিয়ে কতটা চিন্তিত এসএসসি? জানতে চায় আদালত।
আরও পড়ুন- ‘রামকৃষ্ণের নাম শুনেছেন? অভিযুক্তদের গুরু কে? খুঁজে বার করুন’, CBI-কে বিচারক
মেধাদের ক্ষেত্রে নীরব কেন এসএসসি? তারা কেন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছে না? এদিন এমনই প্রশ্ন করলেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়। পাশাপাশি তাঁর নির্দেশ, এসএসসির মেধা তালিকায় ওপরের দিকে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের বিষয়ে তাদের অবস্থান কী, তা আগামী ২৩ মার্চের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে এসএসসি’কে। আগামী ৩০ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়, এসএসসি’র কাছে জানতে চান, কম নম্বরপ্রাপ্ত কাউকে যদি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়ে থাকে তাহলে, যে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাদের বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবস্থান কী।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”পার্থকে লক্ষ্য করে মল ভর্তি মগ ছুড়ল জঙ্গি মুসা! Partha Chatterjee trips in jail” width=”560″>
বিষয় হল, ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ১৭ হাজার শূন্যপদে বাংলা, এডুকেশন এবং ভূগোল বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু মামলাকারীদের অভিযোগ, যে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল সেখানে তাদের নাম ওপর দিকে থাকা সত্ত্বেও তাদের চাকরি দেওয়া হয়নি অথচ যাদের নাম মেধা তালিকায় নীচের দিকে ছিল তারা বহাল তবিয়তে চাকরি করছিলেন। মামলাকারী স্বাগতা বিশ্বাস, মামনি বসাক, ও মৌসুমী মণ্ডল সহ ১০ জনের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানান, এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত রুল না মেনেই বহু বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগ করেছে। অন্যান্য এজলাসের তারা তাদের ভুল স্বীকারও করলেও যারা যোগ্য তাদের জন্য কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না এসএসসি।