কলকাতা: দেগঙ্গা সহ চারটি ধর্ষণ-কাণ্ডে আইপিএস দময়ন্তী সেনকে নজরদারি করার দায়িত্ব দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এর আগেও বহু ঘটনা দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন তিনি৷ এদিন বেঞ্চ জানায় পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা বলছে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করেছেন। দময়ন্তী সেন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল কমিশনার। পার্কস্ট্রিট ধর্ষণ মামলার তদন্তও নিজের হাতে সামলেছিলেন। এক দশক আগের ওই ঘটনার সময় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান ছিলেন দময়ন্তী। এ বার একসঙ্গে চারটি ধর্ষণের ঘটনার তদন্তভার তাঁর হাতে তুলে দিল উচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে হাইকোর্ট জানিয়েছেন, এই চারটি ঘটনার তদন্তে নজরদারিতে তাঁর কোনও আপত্তি থাকলে তা আদালতকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন- ‘ভাল ভোট হচ্ছে’, আসানসোল নিয়ে ভিন্ন মত তৃণমূলের তারকার
উল্লেখ্য, দেগঙ্গা, মাটিয়া, ইংরেজবাজার এবং বাঁশদ্রোণী—এই চারটি ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তের নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দময়ন্তীর উপর। এর আগে পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ মামলা প্রসঙ্গে সদ্য ক্ষমতায়-আসা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ঘটনাকে ‘সাজানো ঘটনা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তবে দময়ন্তী তাঁর তদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণ হয়েছে বলেই উল্লেখ করেছিলেন। তিনি সর্বসমক্ষে সে কথা জানিয়েছিলেন৷
মঙ্গলবার শুনানির সময় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘পর পর দুই-তিনটি ঘটনা ঘটে গেল। কী হচ্ছে? কেন এমন ঘটছে? আমি বাকরুদ্ধ!’’ গত কয়েক দিনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ধর্ষণ এবং গণধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। সেই সকল ঘটনার কথা বলতে গিয়েই প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি ‘বাকরুদ্ধ’৷ এদিন চারটি ধর্ষণ মামলায় নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হলেও, নদিয়ার হাঁসখালির ঘটনার তদন্তে নজরদারির নির্দেশ দেননি প্রধান বিচারপতি৷ যে ঘটনায় নিয়ে উত্তাল বর্তমান রাজ্য-রাজনীতি৷ তবে দময়ন্তী সেনকে দায়িত্ব দেওয়ার আরও একবার পার্ক স্ট্রিট ঘটনার স্মৃতি উস্কে উঠেছে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>