কলকাতা: নজিরবিহীন নির্দেশ! ৩৫ সপ্তাহের গর্ভবতী তরুণীকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যে তো বটেই, এমন নজির গোটা দেশেও নেই৷ বলা ভালো এমন ঘটনা এই প্রথম৷ মায়ের ইচ্ছাতেই অনুমতি দিয়েছে আদালত৷ তবে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা স্পষ্ট বলেছেন, ‘কোনও সমস্যা হলে দায় মায়ের’৷
আরও পড়ুন- ক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা! ৪৮ ঘণ্টার ডেডলাইন তৃণমূলের
বিয়ের পর থেকেই নানারকম শারীরিক সমস্যার জেরে দীর্ঘদিন সন্তান ধারণ করতে পারেননি ওই তরুণী৷ অবশেষে মা হওয়ার স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছিল৷ দীর্ঘ চেষ্টা ও চিকিৎসার পর সন্তান ধারণ করেছিলেন তিনি৷ কিন্তু গর্ভধারণের পর থেকেই শারীরিক সমস্যা বাড়তে থাকে ওই তরুণীর৷ দিন যত এগোতে থাকে সমস্যা আরও বেড়ে যায়৷ চিকিৎসকরা গর্ভপাতের পরামর্শ দেন৷ প্রসঙ্গত, ওই তরুণীর চিকিৎসা চলছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অবিলম্বে গর্ভপাত করানো না হলে সমস্যা আরও বাড়বে৷ ওই তরুণীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে৷ তাই গত সপ্তাহেই গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই তরুণীর পরিবার৷ নিয়ম অনুযায়ী ২৪ সপ্তাহের পর গর্ভপাত করাতে হলে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে মায়ের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে গর্ভপাতের অনুমতি দেয় আদালত৷
এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানাতে চান, মা গর্ভরপাতের ঝুঁকি নিতে রাজি কিনা৷ তিনি সম্মতি জানাতেই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ৷ তবে গর্ভপাতের সময় কোনও জটিলতা বা সমস্যা দেখা দিলে কাউকে দোষারোপ করতে পারবেন না ওই দম্পতি৷ চাইলে এসএসকেএম হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ বোর্ডের সাহায্যে নিতে পারবেন ওই তরুণী৷
জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর গর্ভে থাকা ভ্রুণটির গঠন পরিপূর্ণ হয়নি৷ এই অবস্থায় সন্তানেক জন্ম হলে মায়ের প্রাণের ঝুঁকি থাকবে৷ তাছাড়া শিশুটি জীবন্ত অবস্থায় প্রসব নাও হতে পারে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>