কলকাতা: এমবিবিএস-এ আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ নিয়ে যে রায় দিয়েছিল সিঙ্গেল বেঞ্চ, সেই নির্দেশে এখনই কোনও হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। বরং মামলাকারীর মেরিট পজিশন এবং একটি সিট ফাঁকা রাখতে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ইস্যুতে মামলাকারী তিস্তা দাস এবং তাঁর পক্ষের আইনজীবী তরুণ কুমার দাস।
আরও পড়ুন- লালনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে সিআইডি, রামপুরহাটে ৪ আধিকারিক
এমবিবিএসে ভর্তির ক্ষেত্রে অনান্য সংরক্ষণের পাশাপাশি আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ রাখা বাধ্যতামূলক। অভিযোগ ছিল, সেই নিয়ম মানা হয়নি। ১০ শতাংশ সংরক্ষণের নিয়ম না মেনেই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য সিটের সংখ্যা ঘোষণা করেছিল রাজ্য। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিস্তা দাস নামে এক পড়ুয়া। সংবিধান অনুযায়ী সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ রেখে আসনের পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়, তাঁর মামলার ভিত্তিতে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট দিতে স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ১৫ তারিখের মধ্যে এই রিপোর্ট দিতে হবে। তারপরই সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল থাকবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ডিভিশন বেঞ্চ।
মামলাকারীর আরও দাবি ছিল, ১০ শতাংশ সংরক্ষণের নিয়ম না মানার কারণে তিনি এমবিবিএসে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চে এই মামলার দীর্ঘ শুনানি হয়। শুনানি চলাকালীন আদালতের অন্তর্বর্তী নির্দেশে ছিল, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য যে সিট ঘোষণা করা হয়েছে তার মধ্যে একটি সিট পূরণ করা যাবে না। পাশাপাশি ১০ শতাংশ সংরক্ষণের নিয়ম মেনে নতুন করে আসন সংখ্যার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সেইসঙ্গে আগের প্রকাশিত আসন সংখ্যার তালিকা খারিজেরও নির্দেশ দেন বিচারপতি। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য।