কলকাতা: অন্তর্জালের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে প্রতারণার ফাঁদ৷ বেসামাল হলেই বিপদ৷ আমআদমির চোখে ধুলো দিতে একেবারে রাজ্য সরকারের নামে জ্বলজ্বল করছে ওয়েবসাইট৷ তাই সাবধান৷ এই প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েই হাজার হাজার টাকা খোয়ালেন এক ব্যক্তি৷
আরও পড়ুন- বাংলায় কতক্ষণ ফাটানো যাবে বাজি? সময়সীমা বেঁধে দিল দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড
হেলিকল্পটারে কলকাতা থেকা দিঘা যাওয়ার একটি পরিষেবা চালু করেছিল রাজ্য সরকার৷ তবে শুধু দিঘা নয়, বলা হয়েছিল বেহালা ফ্লাইং ক্লাব থেকে মালদা, বালুরঘাট সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় যাওয়া যাবে কপ্টারে চেপে। কিন্তু চালু হওয়ার কিছুদিন পরেই বন্ধ হয়ে যায় সেই পরিষেবা। এদিকে বিভিন্ন রকম পরিষেবার জন্য মানুষ এখন ভরসা করে ইন্টারনেটের উপরেই৷ দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসিন্দা প্রদীপ হালদারও তেমনটাই করেছিলেন৷
গুগলে এখনও ড্রিম দিঘা হেলিকপ্টার নামে একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। প্রদীপবাবু সেই ওয়েবসাইটে গিয়ে বুকিং-এর চেষ্টা করেন। ফোন করে যোগাযোগ করেন ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গেও৷ বন্ধুর সঙ্গে কপ্টারে চেপে দিঘা যাওয়ার প্ল্যান ছিল তাঁর৷ সেই মতো দু’জনের ভাড়া হিসাবে ৯০০০ টাকা দেন তিনি৷ কিন্তু টিকিট পাননি৷ এর পর ফের ওয়েবসাইটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রদীপবাবু৷ তখন তাঁকে বলা হয় বিমা বাবদ আরও ১১০০০ টাকা দিতে হবে৷ তবে তা ফেরৎযোগ্য৷ সেই টোপেও পা দিয়ে দেন তিনি৷ কিন্তু এর পরেও টিকিট না আসায় টনক নড়ে তাঁর৷ প্রদীপবাবু বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার৷
টিকিট না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে নালিশ জানানোর হুমকি দেন প্রদীপবাবু৷ কিন্তু প্রতারকরা তাঁকে পাল্টা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কেন প্রধানমন্ত্রীকে বললেও কোনও লাভ হবে না৷ এর পরেই বাদুড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রদীপবাবু৷ কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করায় তিনি বসিরহাটের সাইবার সেলে অভিযোগ জানান। সেখানেও তদন্ত না এগোনোয় কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হন। কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড শাখার অফিসাররা তাঁর কাছে যাবতীয় তথ্য প্রমাণ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন৷ আর কেউ এই ধরনের প্রতারণার শিকার হয়েছেন কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।