কলকাতা: আর কয়েক মাসের অপেক্ষা, তারপরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তবে তার আগে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে রয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। একে একে বিধায়ক এবং নেতা দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনের রণকৌশন নিয়ে আলোচনা করতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা বন্ধোপাধ্যায় আজ দলীয় কর্ম সমিতির বৈঠকে অংশ নেন। কালীঘাটে তাঁর বাসভবনে দলীয় সাংসদ, বিধায়কদের উপস্থিতিতে আয়োজিত বৈঠকে প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকে তৃণমূলের প্রথম সারির প্রায় সকলে নেতাই হাজির হয়েছিলেন। একেই সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বৈঠকে ছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ সৌগত রায়, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ দলের প্রথম সারির নেতৃত্ববৃন্দ। যদিও তাঁদের তরফে জানান হয়েছে যে এটা ‘রুটিন মাফিক’ বৈঠক। কিন্তু হঠাৎ দলের প্রথম সারির নেতাদের এইভাবে বৈঠকে ডাক নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।উল্লেখ যোগ্য ব্যাপার, এদিনই নন্দীগ্রামে ‘হেভিওয়েট’ সভা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীও। সেখানে দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, ২০০ আসন নিয়ে বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী যাবেন নবান্ন! একই দিনে তৃনমূলের এই বৈঠক ঘিরে জল্পনা বাড়ছে।
প্রসঙ্গত, এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, যে নন্দীগ্রামকে দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারে এসেছিল, আজ তাদের কর্মীরাই বিজেপিতে আসছে। শত চেষ্টা করা হয়েছে বিজেপির এত বড় জনসভাকে ভণ্ডুল করার জন্য। কিন্তু নন্দীগ্রামের মানুষ তা বানচাল করে দিয়েছে। এর জন্য বিজেপির কর্মী এবং সমর্থকদের সাধুবাদ জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে আত্মবিশ্বাসী হয়ে দাবি করেছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ২০০ আসন পাবে বিজেপি এবং বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে যাবেন। এদিনের সভায় সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, আজকের জনসভায় তিনি শুধুমাত্র একজন অতিথি, আসল নায়ক শুভেন্দু অধিকারী।