কলকাতা: বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার অল্পদিনের মধ্যেই নারদা কাণ্ডে গ্রেফতার হন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে বিগত কয়েক দিন ধরেই হাইকোর্টে চলছে শুনানি। আজ ফের একবার এই মামলার শুনানিতে উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি হল আদালতে। কারণ সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে তাদের আইনজীবীর তরফে।
এদিন শুনানি শুরু হতেই, নিজের যুক্তির স্বপক্ষে বিভিন্ন আদালতের একাধিক নির্দেশনামা পেশ করেন সিদ্ধার্থ লুথরা। বলেন, যদি কোথাও কোন অশান্তি হয়েও থাকে তাহলেও বিকল্প আইনি পন্থা সিবিআইয়ের কাছে ছিল। তারা সেটা না করে সরাসরি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। মামলা স্থানান্তরের যে আবেদন সিবিআই করেছে তার কোন গ্রহনযোগ্যতা নেই। এমনটাও দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, চাঞ্চল্যকর ঘটনা কখনই মামলা স্থানান্তরের আবেদনের ভিত্তিতে হতে পারে না। তাঁর কথায়, বিশেষ বিচারকও একজন ম্যাজিস্ট্রেটের মতই সমান ক্ষমতাসম্পন্ন। মামলার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষের বক্তব্য না শুনে আদালত যদি কোন নির্দেশ দেয়, আদালতের সহজাত ক্ষমতা রয়েছে সেই নির্দেশকে পুনর্বিবেচনা করার।
এদিকে, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, সিদ্ধার্থ লুথরাকে জানান, ”সিবিআইয়ের বক্তব্য, তারা আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে উপযুক্তভাবে শুনানি প্রক্রিয়ায় নিজেদের বক্তব্য পেশ করতে পারেনি।” এর পাল্টা হিসেবে সিদ্ধার্থ লুথরা প্রশ্ন তোলেন, সিবিআই বলছে আইনভঙ্গ হয়েছে। কাউকে যখন বাড়ি থেকে বেআইনিভাবে তুলে নিয়ে আসা হল তখন আইনের শাসন কোথায় ছিল? আজ এখানেই মূলত শুনানি শেষ হয়েছে, পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার সকাল ১১ টায়।