কলকাতা: দুয়ারে রেশন প্রকল্প নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের আইনজীবীর দাবি, এটি সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ। কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করে দেয় কী ভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে রাজ্য সরকার গুলি। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মোতাবেক রেশন দোকান থেকে ন্যায্য মূল্যে উপভোক্তারা রেশন পেয়ে থাকেন। সুতরাং এই নিয়মকে বদলাতে পারে না রাজ্য সরকার। আজ এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে, রায়দান স্থগিত।
আরও পড়ুন- পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীকে? বিস্ফোরক কুণাল
আজ আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, দুয়ারে রেশন প্রকল্প ভবিষ্যতেও চলবে। সামান্য কয়েকজন ডিলার আদালতে এসেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ ডিলার প্রকল্পের সঙ্গে আছেন, তারা আদালতে আসেননি। তিনি আরও বলেন, কোন ডিলারের আইনি অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়নি। ডিলারদের অতিরিক্ত সহায়তা করছে রাজ্য। অন্যদিকে, আদালতে ডিলারদের দাবি, রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত আইন বিরুদ্ধ। খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হলে দায় কে নেবে? কেন্দ্রের আইন না মানলে লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত হতে পারে। রাজ্যের এই নির্দেশিকা খাদ্য সুরক্ষা আইন এবং অত্যাবশ্যক পণ্য আইনের পরিপন্থী বলেও দাবি করে তারা। উল্লেখ্য, আগেই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছিলেন যে, যৌথ লিস্টে রয়েছে রেশন ব্যবস্থা সংক্রান্ত আইন। সাধারণ মানুষ বা উপভোক্তাদের কথা ভেবেই সরকার এই প্রকল্প চালু করেছে।
আরও পড়ুন- সারদা মামলায় শর্ত সাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর কুণালের
ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প। উৎসবের মরশুমে বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে রেশন। কিন্তু গ্রাহকদের দুয়ারে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার আগে কমিশন বৃদ্ধি, পরিবহণ খরচ দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন রেশন ডিলাররা। খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, সেই দাবি মেনে তাঁদের কমিশন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রতি কুইন্টাল খাদ্যশস্যে ৫০ টাকা কমিশন বাড়ানো হয়েছে। এতদিন প্রতি কুইন্টাল খাদ্য শস্যের জন্য ৭৫ টাকা করে কমিশন পেতেন রেশন ডিলাররা। এবার সেটা বাড়িয়ে ১২৫ টাকা করা হচ্ছে। বায়োমেট্রিক করতে হলে কুইন্টাল প্রতি মিলবে আরও ২৫ টাকা৷ সব মিলিয়ে ডিলাররা ২০০ টাকা দেওয়ার দাবি জানালেও, তা ১২৫ টাকা হয়েছে৷ এর ফলে রাজ্যের প্রায় ৩১০০ রেশন ডিলার উপকৃত হবেন।