কলকাতা: পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ আছে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা করেছিল রাজ্য সরকার। এদিন মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কোনও মামলা আগেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে দেওয়ার কোনও যুক্তি নেই। রাজ্য পুলিশ কি ব্যর্থ হয়েছে? প্রশ্ন তাঁর। এদিকে সিবিআই দাবি করেছে, এখনও পর্যন্ত তল্লাশি ও জেরা করে নতুন অনেক তথ্য উদ্ধার হয়েছে। যে সব নথি পাওয়া গিয়েছে তাতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ যথাযথ।
রাজ্যের তরফে এদিন ইডির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ইডি মামলায় যুক্তই নয়, তাতেও তারা গিয়ে আবেদন করেছে, কোন এক্তিয়ারে এই প্রশ্ন করেছেন রাজ্যের আইনজীবী। দাবি, হাইকোর্টের তদন্ত হস্তান্তরের এক্তিয়ার আছে। সেটা এফআইআর হওয়ার পর। এখানে এফআইআর কোথায়? সুপ্রিম কোর্ট বারবার বলেছে হাইকোর্ট যান্ত্রিক ভাবে এজেন্সিকে দায়িত্ব দিতে পারে না। যদি শিক্ষার সঙ্গে পুর নিয়োগ সংযুক্ত হত তাহলে আলাদা করে এফআইআর করার কথা বলতে হত না। আর ইডি অনুমতি চাইছে সিবিআইর জন্য। এটাও কি হতে পারে? জানতে চান আইনজীবী।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ED | Avishek Banerjee | ইডির তলবের পরিপ্রেক্ষিতে কার্যত মুখের উপর ‘না’ বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।” width=”853″>
সম্প্রতি হালিশহর, টিটাগড়, নিউ ব্যারাকপুর, শান্তিপুর এবং দক্ষিণ দমদম পুরসভায় হানা দিয়ে নথি সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা৷ নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হুগলির ব্যবসায়ী অয়ন শীলের হুগলির ফ্ল্যাটেও পৌঁছয় সিবিআইয়ের একটি দল। দীর্ঘক্ষণ ধরে সেখানে চলেছে ম্যারাথন তল্লাশি। বহু নথি খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। তবে মূলত দেখা হয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি।