কলকাতা: নারদা মামলার শুনানির পর আজ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গ্রেফতার হওয়া ৪ জন নেতা, মন্ত্রীকে গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বাড়ি ফিরতে চলেছেন। কিন্তু বাকি তিনজন অর্থাৎ সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। কারণ তাদের বাড়ি ফেরার ব্যাপারটা নির্ভর করছে চিকিৎসকদের ওপর। এই মুহূর্তে তাঁরা তিন জনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্রের ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে। করোনাভাইরাস মুক্ত হলেও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত তাঁর। সেই প্রেক্ষিতে আরো বেশ কয়েক দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হবে মদন মিত্রকে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, সিরোসিস অফ লিভার রয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। বহুদিনের পুরনো রোগ হলেও এখন তা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস মন্ত্রী সুব্রতা মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কেও সিদ্ধান্ত নেবে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারণ তাঁদের চিকিৎসা ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে মেডিকেল বোর্ড। তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু জটিল সমস্যা রয়েছে। আগামীকাল সকালে তিনজনের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে এবং তারপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে তাঁরা আদতে কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন।
সোমবার সিবিআই তাঁদের গ্রেফতার করার পরে ফিরহাদ হাকিম ছাড়া বাকিরা একে একে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন শারীরিক জটিলতার কারণে। হাসপাতালে ভর্তি না হলেও ফিরহাদ হাকিমের শারীরিক অসুস্থতা হয় প্রেসিডেন্সি জেলেই। যদিও তিনি কোন সময় হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি। এখন কলকাতা হাইকোর্টের শুনানির পর তিনি বাড়ি ফিরলেও থাকতে হবে গৃহবন্দি। এদিকে বাকি তিনজন বাড়ি ফিরলেও নির্দেশ অনুযায়ী গৃহবন্দি থাকবেন তাঁরা। কিন্তু সর্বপ্রথম তাদের বাড়ি ফেরা নিয়ে এখন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে।