টোটো ‘যন্ত্রণা’, পরিবহন দফতরের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

টোটো ‘যন্ত্রণা’, পরিবহন দফতরের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

hc

কলকাতা: শহর ও শহতলীতে অটো রিক্সা ও টোটোর দৌরাত্ম্য নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। অটোর পরিবহন দফতরের স্বীকৃতি থাকলেও টোটোর নেই বললেই চলে। আর এই টোটোর কারণেই যানজটে ওষ্ঠাগত বসিরহাট পৌরসভা এলাকার সাধারণ মানুষ। দিনদিন এমন অভিযোগ আসায় বসিরহাট পৌরসভা একটি বিকল্প পথের সন্ধান পেতে বোর্ড অফ কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি বৈঠক করে। তাতে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনজন টোটো মালিক। এই মামলায় পরিবহন দফতরের রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

একদিকে ৫ হাজারের বেশি টোটো এবং তার সঙ্গে যুক্ত গরিব মানুষের রোজগারের প্রশ্ন, অন্যদিকে নিত্য যানজট, সব দিক ভেবে বোর্ড অফ কাউন্সিলরদের বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল বসিরহাট পৌরসভা থেকে ৯০ শতাংশ এবং পৌরসভার পার্শ্ববর্তী একাধিক এলাকা থেকে ১০ শতাংশ টোটো নেওয়া হবে। নিজ নিজ পৌর এলাকায় টোটোগুলি চিহ্নিত করা হবে। এদিকে এলাকার কাউন্সিলররা নিজের এলাকার টোটো মালিকদের থেকে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বাবদ ৩০০ টাকা নেবে। নতুন গাড়ি নামতে হলে পুরনো গাড়ির নম্বর প্লেট দেখানোরও সিদ্ধান্ত হয়। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল, একদিনে ৫ হাজার টোটো চালানো যাবে না। প্রতিদিন ১ হাজার করে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চালাতে হবে। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনজন টোটো মালিক।

এদিন মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেন, পৌরসভা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা এক্তিয়ার বহির্ভূত। এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের পরিবহন দফতর ও RTO নিতে পারে। এই ইস্যুতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানতে চান, অনুমোদনহীন টোটোগুলিকে নিজেদের আওতাধীন করার জন্য ২০১৫ সালে রাজ্যের পরিবহন দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কাজ হয়েছে কিনা। এই রিপোর্ট তলবের পাশাপাশি তাঁর নির্দেশ, আগামী ১৯ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত পৌরসভার বোর্ড অফ কাউন্সিলরদের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যাবে না।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *