কলকাতা: আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে শুরু থেকে আভাস মিললেও নির্দেশ আসছিল না। কিন্তু মনোনয়ন পর্বে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে তাতে আদালত কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশ দিতে পিছপা হয়নি। মারধর, গুলি, বোমাবাজি, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে এই অভিযোগগুলি এসেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের থেকে আগেই এই ব্যাপারে ব্যাখ্যা চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার বাদ গেল না নবান্নও। রাজ্যের কাছেও মনোনয়ন পর্বের হিংসা নিয়ে উত্তর চেয়েছে আদালত।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, উত্তর দিনাজপুরের চোপ়ড়া, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট, সহ আরও একাধিক জায়গা থেকে লাগাতার হিংসার অভিযোগ এসেছে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে। দাবি করা হয়েছে, পুলিশের সামনেই অবাধে চলেছে সন্ত্রাস। অর্থাৎ এক কথায়, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও করা হচ্ছে সব জায়গা থেকে। এই প্রেক্ষিতেই রাজ্যের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। আদালত জানতে চেয়েছে, নির্দেশ থাকার পরেও পুলিশ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হল কী ভাবে। আর যে পুলিশকর্মীরা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হবে না বা হয়নি এখনও।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ভাঙড়, ক্যানিংয়ের পর চোপড়া। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। Panchayet Election” width=”789″>
এদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের কাছে পুলিশের তরফ থেকে যে রিপোর্ট এসেছে তাতে কোনও মৃত্যুর উল্লেখ নেই। এদিকে কমিশনে প্রায় ৫ হাজার আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে বলেও খবর, যেগুলি অবশ্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত। যদিও ক্যানিং থেকে শুরু করে ভাঙড়, চোপড়া… সব জায়গা থেকেই মৃত্যুর খবর এসেছে। তাছাড়া বোমাবাজি, গুলি চালানো, ভাঙচুরের মতো ঘটনা তো আছেই। তা সত্ত্বেও পুলিশের রিপোর্টে কেন কোনও মৃত্যুর তথ্য দেওয়া নেই তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন।