কলকাতা: ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে লাগাতার হিংসা এবং অশান্তির ঘটনা ঘটে চলেছে। মনোনয়ন পর্ব শুরুর দিন থেকেই শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতে শুরু করেছে যা এখনও থামছে না। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে এক মামলায় পঞ্চায়েত ভোটে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে পরোক্ষে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে পদত্যাগের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
এদিন বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, এত অশান্তি, রক্তপাত, হলে উচিত নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া। নির্বাচন ঘিরে এত অভিযোগ রাজ্যের পক্ষে লজ্জার বিষয়। আদালতের নির্দেশ মতো আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত রাজ্যের। তা না পারলে বন্ধ করে দেওয়া উচিত নির্বাচন। এই প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে বড় বার্তা দিয়েছে। সরাসরি তাঁকে কিছু না বলা হলেও বিচারপতি বলেছেন ভোট সামলাতে না পারলে যেন রাজীব সিনহা রাজ্যপালের কাছে যান। প্রয়োজনে রাজ্যপাল নতুন কাউকে দায়িত্ব দিয়ে দেবেন। এক কথায়, পরোক্ষভাবে তাঁকে ইস্তফা দেওয়ার বার্তাই দেওয়া হয়েছে।
এমনিতেই কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশকে সঠিকভাবে গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের। যে নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে গেলে সেখানেও একই নির্দেশ বজায় থেকেছে। তারপর কমিশন গোটা রাজ্যের জন্য মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনীর আবেদন করে। কিন্তু পরে কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট করেছে, ২০১৩ সালের থেকে বেশি কোম্পানি নিয়ে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোট করাতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে ৫ দফায় হয়েছিল পঞ্চায়েত ভোট এবং বাহিনী এসেছিল ৮৩৫ কোম্পানি।