Court
কলকাতা: ডিআই যে কাজ করেছেন তা আদালত ভালো চোখে দেখছে না। তাই শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে কড়া নির্দেশ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মুর্শিদাবাদের ডিআইকে অপসারণ করতে হবে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, তিনি অন্য দফতরে চাকরি করতে পারেন। তবে ডিআই পদে চাকরি করার যোগ্য তিনি নন।
আসলে নদিয়াতে বাড়ির কাছে বদলির আবেদন জানিয়ে আদালতের দারস্ত হয়েছিলেন এক শিক্ষিকা। তাঁর সন্তান জটিল রোগে আক্রান্ত এবং স্বামী প্রতিবন্ধী হওয়ায় বাড়ির কাছে বদলির আবেদন করেন তিনি। এই ইস্যুতে ওই স্কুলে কতজন শিক্ষিকা আছেন তা জানতে চেয়ে ডিআই-এর রিপোর্ট তলব করে আদালত। এই রিপোর্টেই শিক্ষকদের সঙ্গে প্যারা টিচারের সংখ্যা যোগ করে তথ্য দেন ডিআই। এখানেই বিরক্ত হয় আদালত কারণ আগেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল যে, এই দুই সংখ্যা এক করা যাবে না। কাজেই এই রিপোর্ট পেয়ে ক্ষুব্ধ বিচারপতি ডিআই’কে পদ থেকে অপসারণ করার নির্দেশ দিলেন।
এর নির্দেশের পাশাপাশি রাজ্যকেও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বলা হয়েছে, আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে মামলাকারীকে বাড়ির কাছের কোনও স্কুলে বদলি করতে হবে। আর এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ ডিসেম্বর। সেদিন রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিয়ে নির্দেশ কার্যকরের বিষয়ে জানাতে হবে।