Aajbikel

দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য! বহু অভিযোগের পরও পুলিশি পদক্ষেপ হয়নি, হাইকোর্টের কড়া নির্দেশ

 | 
হাইকোর্ট

কলকাতা: টোন, টিটকিরি, শ্লীলতাহানি, মারধর, খুনের চেষ্টা... এলাকার দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য নিয়ে নাজেহাল অবস্থা উলুবেড়িয়া থানার উত্তর গঙ্গারামপুর চক্রবর্তী পাড়া সহ আশপাশের অঞ্চল। স্থানীয়দের দাবি, একাধিকবার মামলা করা হলেও পুলিশ কোনও রকম পদক্ষেপ নেয়নি এতদিনেও। এদিকে এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি, খুনের চেষ্টা, তার মাকে মারধরের ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি বলেও অভিযোগ ছিল। এই সংক্রান্ত  একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট হাওড়ার এসপির রিপোর্ট তলব করেছে থানার ভূমিকা নিয়ে।

আরও পড়ুন- জঙ্গলমহল থেকে উত্তরবঙ্গ রাস্তা, বঞ্চনা ইস্যুতে কেন্দ্রকে ফের একহাত মমতার

দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য চরমের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তাতে কোনও পদক্ষেপ হয়নি। একের পর এক অভিযোগ একটি দুষ্কৃতী দলের বিরুদ্ধে ২০১৬ সাল থেকে হয়ে আসছে, প্রায় এক ডজন মামলা হলেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। এই প্রেক্ষিতেই আদালতে হাজির তদন্তকারী অফিসারকে হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থার প্রশ্ন, কেন ৩০৭ ধারা দেওয়া হয়নি? নিম্ন আদালতের কেন ৪১ এ নোটিস দেওয়া হয়েছে? এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে পকসো অভিযোগ আছে, সেটা জানান হয়েছিল কিনা তাও জানতে চান তিনি। একই সঙ্গে তিনি এও জানতে চান, এর আগে এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে FIR হয়েছে, সেই গুলির কী হয়েছে? 

একাধিক প্রশ্ন ছাড়াও কিছু নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি জানিয়েছেন, এখনই খুনের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির ধারা যোগ করবে পুলিশ। আর অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। অভিযুক্তরা জামিনের আবেদন করলেই পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে যাবতীয় চার্জশিট, গণস্বাক্ষর নথি নিম্ন আদালতে জমা দেবে। এছাড়া পাঁচ জন কনস্টেবল সহ বাহিনী এলাকায় নজরদারির জন্য পাঠাতে হবে। হাওড়ার এসপি রিপোর্ট দিয়ে জানাবেন উলুবেড়িয়া থানা এই মামলাগুলিতে কী পদক্ষেপ করেছে। আগামী দু'সপ্তাহ পরে ফের শুনানি।

Around The Web

Trending News

You May like