কলকাতা: সিপিএমে’র পক্ষে ভোট পড়া, প্রিসাইডিং অফিসারের সই সহ কয়েকশো ব্যালট পেপার পাওয়া গিয়েছিল হুগলির জঙ্গিপারা ডিএন হাইস্কুল সংলগ্ন রাস্তার ধার থেকে। এই ইস্যু নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হওয়ার পর বিচারপতি অমৃতা সিনহা রিটার্নিং অফিসার এবং বিডিও অফিসারকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারা আজ হাজিরা দিয়েছেন। এদিকে এই ঘটনায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা তলব করেছেন বিচারপতি। আদালতের পর্যবেক্ষণ, পঞ্চায়েতে জিতলেই টাকা আর টাকা, পাঁচ বছরের চাকরি। তাই হয়তো এইভাবে লড়াই।
এদিন আদালতের শুনানিতে বিচারপতি রিটার্নিং অফিসারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, কী ভাবে প্রিসাইডিং অফিসারের সই থাকা ব্যালট পেপার রাস্তায় মিলল। এগুলি কাকে ইস্যু করা হয়েছিল। রিটার্নিং অফিসার জানান, ভোটের দিন এগুলো বাইরে দিতে হয় প্রিসাইডিং অফিসারকে। তাঁর মাধ্যমেই পোলিং স্টেশন থেকে বাইরে বেরোতে পারে এগুলি। এদিকে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে দাবি করেন, গণনার সময় এই ঘটনা ঘটেছিল। কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা দেওয়াও হয় কিন্তু তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এই প্রেক্ষিতে আদালত রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে আরও জানতে চায় যে, গণনার সময় বিরোধী দলের কোনও এজেন্ট ছিল কিনা। বা প্রার্থীদের এজেন্ট কখন ঢুকেছিল।
নির্বাচন কমিশন অবশ্য এই মামলার অন্য এক কথাই বলেছে। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, হাজার ব্যালটের মধ্যে হয়তো ৪০০ ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হয়নি। যেটা রিটার্নিং অফিসারের কাছে ফিরে আসে। এগুলিই হয়তো রাস্তা থেকে পাওয়া গিয়েছে। আর নির্বাচনের গণনার পর ওই ব্যালট পেপারের কোনও গুরুত্ব থাকে না। তাদের তরফে এও জানান হয়, এই মামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে। কারণ এটা ইলেকশন পিটিশন নয়। নির্বাচন শেষ হয়ে গিয়েছে। এছাড়া আজ পঞ্চায়েত রিটার্নিং অফিসারের পক্ষ থেকে আদালতে হলফনামা জমা দেওয়া হয়। ভিডিও ফুটেজ এবং সিসিটিভি ফুটেজও জমা দেওয়া হয়েছে।