কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের রিপোর্টে অনেক ওএমআর সিট বিকৃত করা হয়েছিল বলে উল্লেখ ছিল। তাই এখনও অনেকেই এমন আছেন যাদের ওএমআর সিট বিকৃত কিন্তু তারা চাকরি করছেন। এই দাবি তুলে নতুনভাবে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ববিতা সরকার। মূলত ওএমআর সিট প্রকাশ করার দাবিই ছিল তাঁর। এই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রেখেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী উত্তরপত্র প্রকাশ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
ববিতা সরকারের মামলায় এদিন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, তালিকায় নাম প্রকাশের পর যদি কোনও শিক্ষকের চাকরি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন থাকে তাহলে সিঙ্গেল বেঞ্চ আগে তাদের শুনানির সুযোগ দেবে। তারপর সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত যে এসএলপি আছে তার নিষ্পত্তি হওয়ার পরেই তাদের চাকরি নিয়ে পদক্ষেপ করা যাবে। এদিকে এসএসসি’র আবেদনে ২১ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২৮ জুলাই পর্যন্ত তালিকা প্রকাশের সময় বাড়িয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, পাবলিক সার্ভিস নিয়ে দুর্নীতি হলে কোনও আদালত মুখ বুজে থাকতে পারে না, এক্ষেত্রেও তা হবে না।
কিন্তু কেন চাকরি হারিয়েছেন ববিতা সরকার? আসলে তাঁর রুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল যে তিনি স্নাতকস্তরের শতকরা নম্বর বাড়িয়ে দেখিয়েছিলেন। ফলে তাঁর ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ বেড়ে গিয়েছে। এর পর সেই মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে গেলে তিনি ববিতার চাকরি বাতিল করেন। চাকরি বাতিল হলে শিলিগুড়িরই বাসিন্দা অনামিকা ববিতার চাকরি পান।