কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা থাকলেও বাস্তবে তা করা হয়নি। এক্ষেত্রে বিএসএফ এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন একে অপরের বিরুদ্ধে দোষ চাপিয়েছে। বিএসএফ আগেই দাবি করেছিল যে, কোথায় কোথায় বুথ এবং স্পর্শকাতর এলাকা জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কমিশনের তরফে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে আজ তারা আদালতে রিপোর্টও জমা দেয়। যদিও নির্বাচন কমিশনার এই অভিযোগ মানতে চাননি। এখন জানা গেল, কমিশন এবং রাজ্যের তরফে বাহিনীর সঙ্গে অসহযোগিতাও করা হয়েছে। যা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
বুধবার আদালতে বিএসএফ-এর তরফে ৮৩ পাতার রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। সেই রিপোর্টকে সঠিক বলেই মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, বাহিনীকে এক জায়গায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল ভোটের দিন। ফোর্স বিভিন্ন রাজ্য থেকে এসেছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তার জন্য। কিন্ত তাদের সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হয়নি। একই সঙ্গে তিনি এও মন্তব্য করেন, আদালতে কমিশন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল বাহিনীর থাকা, খাওয়া, যাতায়াতের সমস্ত ব্যবস্থাপনা থাকবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছিল রাজ্যে, কিন্তু ট্রেন থেকে নামার পর তাদের জন্য কোনও গাড়ির ব্যবস্থাও ছিল না। এটা দুর্ভাগ্যজনক।
এই প্রেক্ষিতেই আদালত নির্দেশ দিয়েছে, বাহিনীকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতেই হবে। রাজ্যের ডিজি, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং আইজি বিএসএফ কমিটি রিপোর্ট দেবে গ্রাউন্ড রিয়ালিটি নিয়ে। বাহিনীকে জেলা প্রশাসন কী ভাবে কাজে লাগাচ্ছে, প্রতিদিন সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। জানান হয়েছে, আগামী ২৪ তারিখ ওই রিপোর্ট আদালতে জমা করতে হবে, ২৮ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।