কলকাতা: এক স্কুল শিক্ষকের বকেয়া বেতন সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিচারপতির প্রশ্ন, আদিবাসী স্কুল বলেই কি অবহেলা করা হচ্ছে? স্কুলের পরিস্থিতি বা বর্তমান অবস্থা জেনে এদিনের এই মামলায় যথেষ্ট চিন্তা প্রকাশ করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
বেতন ইস্যুতে আদিবাসী এক স্কুলের শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের সংঘাত হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার একটি আদিবাসী আবাসিক স্কুলের এক শিক্ষকের দশ বছর চাকরির পরও বেতন সহ অন্যান্য বকেয়া মেলেনি। সেই প্রেক্ষিতে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালত এই মামলার শুনানির সময়ে স্কুলের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারে। এতেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি। তাই স্কুল এবং জেলা কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। পঠন-পাঠনসহ, মিড ডে মিল, ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক পরিষেবা সম্পর্কে আদালতে জানাতে হবে তাঁদের। আগামী ১৮ আগস্টের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু মামলার শুনানিতে মন্তব্য করেছেন, আগে নিজেদের মধ্যে লড়াই বন্ধ করতে হবে, সার্বিকভাবে উন্নতি সাধন করতে হবে দুই পক্ষকে। স্কুলের উন্নতিতে দরকার হলে আদালত সাহায্য করবে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই প্রান্তিক স্কুলগুলির উন্নতিতে লুকিয়ে আছে ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যৎ। স্কুলের মাধ্যমিকের রেজাল্ট নিম্নমানের, সেটাকেও উন্নত করতে হবে শিক্ষক এবং কর্তৃপক্ষকে।