জাতীয় সড়কের জন্য অধিগৃহীত জমি দখলে স্থগিতাদেশ, বাড়ল জটিলতা

জাতীয় সড়কের জন্য অধিগৃহীত জমি দখলে স্থগিতাদেশ, বাড়ল জটিলতা

Land Acquisition

কলকাতা: মালদায় দুই জাতীয় সড়ক যুক্ত করার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হল। কারণ কলকাতা হাইকোর্ট সড়কের জন্য অধিগৃহীত জমি দখলে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আদালত মনে করেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ২০১৩ সালের আইন মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। তাই এই সিদ্ধান্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কাজে এখন দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা বজায় থাকবে। 

বিষয় হল, মালদার চাঁচলে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের একটি বাইপাস তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু করে কেন্দ্র। এক্ষেত্রে একটি ইটভাটাও অধিগ্রহণের আওতায় চলে আসে। কিন্তু জাতীয় সড়ক বিভাগ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ১৯৫৬ সালের পুরনো আইনকে সামনে রেখেছিল। তাতে আপত্তি জানান ওই জমির মালিক। প্রাথমিকভাবে কোনও সুরাহা না হওয়ায় অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালতে দাবি করা হয়, ২০১৬ সালে ওই জমি অধিগ্রহণের জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছিল। ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের পর থেকে অধিকৃত জমির জন্য ২০১৩ সালের আইন মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ মানেনি।

নতুন আইনে জমি অধিগ্রহণ করতে হলে গ্রামীণ এলাকায় বাজার দরের তুলনায় চার গুণ এবং শহরের ক্ষেত্রে দ্বিগুণ দাম দেওয়ার কথা। একই সঙ্গে অধিগৃহীত জমির জন্য জমিদাতাকে বিকল্প জায়গায় বাসস্থান গড়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু এর মধ্যে কোনওটাই হয়নি। তাই কলকাতা হাইকোর্ট স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 6 =