কলকাতা: সৌদি আরবে বসে বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে এক ব্যক্তি মনোনয়ন জমা করেছিলেন। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। এদিন সেই মামলার শুনানিতেই আদালতের নির্দেশ মতো কমিশনের তরফ থেকে জমা দেওয়া হয়েছে রিপোর্ট। কমিশন জানিয়েছে, তদন্ত করে ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রের বক্তব্য, এটি একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র, ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত হওয়া উচিত। একই সুর মামলাকারীর আইনজীবীর গলাতেও। তাঁর বক্তব্য, আগে এই ঘটনার অভিযোগ জানাতে গেলে কেউ অভিযোগ নেয়নি। এছাড়াও ওই ব্যক্তি আদৌ মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন নাকি অন্য কেউ তার নামে জমা দিয়েছেন, সেটাও পরিষ্কার নয়।
গোটা বিষয় নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, যে ব্যক্তি এই মনোনয়ন পত্র গ্রহণ করেছেন তিনি খুবই হালকাভাবে নিয়েছেন বিষয়টিকে। স্ক্রুটিনিও ঠিকভাবে হয়নি। এই প্রেক্ষিতেই পঞ্চায়েত রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বিচারপতির বক্তব্য, কেন্দ্র তদন্তের জন্য আগ্রহী আদালত নির্দেশ দিলে। কমিশনকে অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা কি শুরুতে গুরুত্ব বোঝেনি? এখন তদন্তভার কেন্দ্রকে কেন দেওয়া হবে না? এই প্রশ্ন করেছে আদালত। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত রিটার্নিং অফিসারকে মনোনয়ন গ্রহণকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
তবে আপাতত কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা এই ঘটনার তদন্ত করবে না বলে জানিয়েছে আদালত। কোন তদন্তকারী সংস্থা এই তদন্ত করবে, তা পরবর্তীকালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও রাজ্যের বক্তব্য, এই আদালত এর আগে একটি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। পরবর্তীকালে ডিভিশন বেঞ্চে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে তদন্তভার দেওয়া হয়। এই মামলার পরের শুনানি আগামী ১৯ জুলাই।