শিক্ষক বদলি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের CBI তদন্তের নির্দেশে ডিভিশন বেঞ্চের স্থগিতাদেশ

শিক্ষক বদলি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের CBI তদন্তের নির্দেশে ডিভিশন বেঞ্চের স্থগিতাদেশ

3dbdbb00e97c4f49629361e564d109c7

কলকাতা: দু’বছরের মধ্যে শিক্ষিকার ঘন ঘন বদলি৷ কেন? কারণ খুঁজতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ ইতিমধ্যেই রাজ্যে এক ডজন মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জলপাইগুড়িতে মামলা শুনতে গিয়েও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চ৷  কিন্তু, শিক্ষিকা শান্তা মণ্ডলের বদলি মামলায় সিবিআই তদন্তের উপর অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন- ‘নির্দেশ’ কার? অনুব্রতকাণ্ডে হাসপাতালের চিকিৎসক-সুপারকে নোটিস দিল সিবিআই

শুক্রবার বিচারপতি রবি কিসান কাপুর এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চ (জলপাইগুড়ি সার্কিট) চার সপ্তাহের জন্য এই মামলায় সিবিআই তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শান্তার বদলি সংক্রান্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ বাতিল করে তাঁকে ৫ অগাস্ট পুরনো কর্মস্থল বীরপাড়া গার্লস হাই স্কুলে প্রধানশিক্ষিকা পদে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন৷ কিন্তু শান্তা আদালত নির্দেশ মেনে পুরনো স্কুলে যোগ দেননি৷ স্কুলের পরিচালন সমিতির জনৈক সদস্যকে হোয়াটসঅ্যাপ করে জানান, তিনি অসুস্থ৷

এদিকে, আদালতের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন শান্তা৷ তাঁর আবেদনের ভিত্তিতেই সিবিআই তদন্তের উপর চার সপ্তাহের জন্য স্থগিতদেশ দেওয়া হয়৷ 

শিলিগুড়ির শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির হাই স্কুলের শিক্ষিকা শান্তা মণ্ডলকে ২০১৯ সালে বীরপাড়া গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পদে নিয়োগ করা হয়৷ কিন্তু, স্কুলে যোগ দেওয়ার এক বছরের মধ্যেই তিনি ফের বদলির জন্য রাজ্যের শিক্ষা দফতরে আবেদন জানান৷ তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে মধ্যশিক্ষা পর্যদ৷ ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর শান্তাকে শিলিগুড়ির অমিয় গোপাল চৌধুরী স্মৃতি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পদের জন্য তাঁকে নিয়োগপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু, নিয়োগ পেয়েও শান্তা ওই স্কুলে যোগ দেননি। তিনি আবার শিক্ষা দফতরে বদলির আবেদন জানান৷ ফের তাঁর আবেদন মঞ্জুরও হয়। এ বার তাঁকে পাঠানো হয় শিলিগুড়ি শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা করে৷ এর পরেই বদলি প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রসুনসুন্দর তরফদার। কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি৷