কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেলাগাম হিংসা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁর মামলার শুনানিতে আজ আইজি বিএসএফ এবং রাজ্যের সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এমনই নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি জানান হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে আক্রান্তদের সরকারি হাসপাতালে অথবা সরকারি কোনও ক্যাম্পে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে মৃতদের ময়নাতদন্তের ভিডিও করতে হবে। পরিবারের হাতে দেহ তুলে দিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে শেষকৃত্যে সাহায্য করতে হবে সরকারকে।
শনিবারের ভোটে হিংসার পাশাপাশি বিরাটভাবে ছাপ্পা ভোট হওয়ার দাবিও তুলেছিল বিরোধীরা। এদিন আদালতে তাদের তরফ থেকে জানান হয়, পুননির্বাচন হওয়া উচিত রাজ্যের অন্তত আড়াই হাজার বুথে। যদিও আজ কমিশনের তরফে জানান হয়েছে, ৬৯৬টি বুথে ভোট হচ্ছে আজকে নতুন করে। আদালতের নির্দেশ মেনে সমস্ত নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই নির্বাচন হচ্ছে। কোনও সমস্যা নেই। তবে অধীর চৌধুরী তাঁর মামলায় রাজ্যকে তীব্রভাবে নিশানা করেছেন। তাঁর কথায়, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটা নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যালট বাক্স লুট করা হয়েছে। গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। যে পরিস্থিতি তাতে গণতন্ত্র ভেঙে পড়েছে বলা যায়। নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশনের ষড়যন্ত্রে ব্যাপক সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়েছে।
অধীর আরও জানান, শতাধিক বিরোধী দলের আক্রান্ত কর্মীদেরকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকি ঘরবাড়ি নষ্ট করা হয়েছে। তাই তিনি যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং পুনর্বাসনের আবেদন করেন। এই পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত উপরিউক্ত নির্দেশ দিয়েছে। যদিও এজির বক্তব্য, কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে রাজ্য তথ্য নিয়ে আদালতকে সহযোগিতা করতে চেষ্টা করত।