বাংলাদেশি ‘প্রাণ’ সংস্থার আড়ালে হাওয়ালা চক্র, বাংলা টাকায় ফুলছে পাকিস্তান!

কলকাতা: লটারির টোপ দেখিয়ে আর্থিক প্রতারণা। হাওয়ালা চক্রের মাধ্যমে সেই টাকা বাংলাদেশ ঘুরে পৌঁছে যেত পাকিস্তানে। রাজ্য জুড়ে লটারির প্রতারণার বড়সড় চক্রের হদিশ পেল সিআইডি। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক জাল লটারি চক্রের দুই পান্ডাকে পাকড়াও করেছে সিআইডি। সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম রাজেশ ঘোষ এবং তার ম্যানেজার বিধান কীর্তনিয়া। বাংলাদেশি সংস্থা প্রাণ বেভারেজ ইন্ডিয়ার ব্যবসায়িক অংশীদার। কলকাতার নিউটাউনের

বাংলাদেশি ‘প্রাণ’ সংস্থার আড়ালে হাওয়ালা চক্র, বাংলা টাকায় ফুলছে পাকিস্তান!

কলকাতা: লটারির টোপ দেখিয়ে আর্থিক প্রতারণা। হাওয়ালা চক্রের মাধ্যমে সেই টাকা বাংলাদেশ ঘুরে পৌঁছে যেত পাকিস্তানে। রাজ্য জুড়ে লটারির প্রতারণার বড়সড় চক্রের হদিশ পেল সিআইডি। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক জাল লটারি চক্রের দুই পান্ডাকে পাকড়াও করেছে সিআইডি। সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম রাজেশ ঘোষ এবং তার ম্যানেজার বিধান কীর্তনিয়া।

বাংলাদেশি সংস্থা প্রাণ বেভারেজ ইন্ডিয়ার ব্যবসায়িক অংশীদার। কলকাতার নিউটাউনের চিনারপার্কে তাদের সংস্থাও রয়েছে। সিআইডি সূত্রে আরও জানা গেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের লটারিতে বড় অঙ্কের টাকা জেতার ফোন কল আসত। কিন্তু সেই টাকা পেতে গেলে চাই প্রসেসিং ফি। মোটা টাকার লোভে অনেকেই মোটা টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতেন। বিভিন্ন ভারতীয় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া থাকত।

নির্ধারিত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করলেই সেই টাকা এই দেশের কোনও এজেন্ট সংস্থা তৎক্ষণাৎ তুলে নিত। পরে হাওলা বা অন্য কোনও মাধ্যমে সেই টাকা চলে যায় পাকিস্তানে জাল লটারি চক্রের হাতে। এভাবে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় মানুষের কাছ থেকে। সম্প্রতি সিআইডি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার পটাশপুর থানা এলাকার একটি এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন।

এরপরেই কেঁচো খুঁড়তে বেড়িয়ে আসে কেউটে। প্রথম সন্দেহ হয় ফোন কলের নম্বর থেকে। সেই নম্বর যাচাই করতেই দেখা যায়, পাকিস্তানের মোবাইল নম্বর। যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শুরু হত +৯২ দিয়ে। তবে বাংলাদেশী সংস্থাটিও জড়িত কিনা, জানা যায়নি। ধৃতদের শনিবার কাঁথি মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 1 =