বাংলার বাজারে হরির লুট, সুযোগ বুঝে চলছে দেদার কালোবাজারি

বাংলার বাজারে হরির লুট, সুযোগ বুঝে চলছে দেদার কালোবাজারি

dec115fb4f689b1e24032a6b4bd0e954

কলকাতা:  লকডাউনের কাউন্টডাউন শুরু হতেই মানুষের ঢল নেমেছে বাজারে৷ কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করছেন মুদি দোকান থেকে শুরু করে হাট-বাজার সর্বোত্র৷ সেই সুযোগে সোমবার রাজ্যের সবকটি বাজার আগুন৷ চড়া মাছ-মাংসের দাম৷ চলছে দেদার কালোবাজারি৷

সোমবার বিকেল থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে লকডাউন৷ তার আগে যে যতটা পারেছে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তুলছেন ঘরে৷ দোকানে লেগেছে লম্বা লাইন৷ ঘণ্টা খানেক লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না সামগ্রী৷ বিপুল চাহিদা যোগান দেওয়া দায় হয়ে উঠেছে৷ সামান্য ডিম, পাউরুটি, মুড়ি কিংবা দুধের প্যাকেট কেনার জন্য ঘুরতে হচ্ছে পাঁচটা দোকান৷ আর যে দোকানে জিনিস মিলছে, সেখানে দিতে হচ্ছে বাড়তি টাকা৷ লকডাউনের আতঙ্কের মাঝেই কালোবাজারির অত্যাচারে দিশেহারা মানুষ৷

বহু মানুষকে দেখা যাচ্ছে পেটিপেটি ডিম কিনতে৷ চাল, ডাল, তেল, নুন তো আছেই৷ কাঁচা বাজারও ফুরিয়ে যাচ্ছে নিমেষে৷ এ যেন হরির লুট৷ আর একটু দেরি হলেই খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে অন্য ক্রেতাদের৷ বিভিন্ন বাজারে চলছে পুলিশি টহল৷ সঠিক মূল্য নেওয়ার জন্য বার বার মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে৷ তা সত্ত্বেও কুছ পরোয়া নেই৷ রমরমিয়েই চলছে কালোবাজারি৷ সকলেই চড়া দর হাঁকছে৷ সকাল থেকেই প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গিয়েছে৷ বেগুন ৫০ টাকা কিলো৷ টমেটোর ২০ টাকা থেকে বেড়ে কিলো প্রতি ৫০ টাকা। কাঁচালঙ্কার দাম ৮০ থেকে একলাফে হয়ে গিয়েছে ১২০ টাকা। অন্যান্য সবজির দামও বেড়েছে বহু গুণ৷  

এসবের মাঝে একটাই প্রশ্ন মাথাচারা দিয়ে উঠছে, তা হল মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে কোথায়? প্রশাসনের তরফে ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বারবার৷ আজ সারাদিন বাজারের যে চিত্র ধরা পড়েছে তা রীতিমতো আতকে ওঠার মতো৷ অধিকাংশ বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই৷ মাস্ক ছাড়া বাজারে পৌঁছে গিয়েছেন ক্রেতারও৷ গা ঘেঁষাঘেঁষি করে জিনিস কিনছে সকলে৷ এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে বই কমছে না৷ গতকাল প্রধানমন্ত্রীর ডাকা জনতার কার্ফু ছিল এককথায় সফল৷ কিন্তু ঠিক তার পরের দিনই চিত্রটা ছিল চোখে পড়ার মতন৷ সোমবার বিকেল থেকে লকডাউন হলেও, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাজারে মিলবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হলেও, তাতে ভরসা নেই আমআদমির৷ তাই গ্যাঁটের বাড়তি কড়ি খরচ করেই হেঁসেল সামলাতে ব্যস্ত বাঙালি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *