হাইকোর্টের দ্বারস্থ হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবার! পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি

হাইকোর্টের দ্বারস্থ হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবার! পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি

615c32c5218b682b37baf2406dfa62d2

নদীয়া: সুবিচারের আশায় এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন হাঁসখালির নির্যাতিতা ও মৃত কিশোরীর বাবা-মা। সোমবার আদালতে তারা হাঁসখালি থানার IC এবং সেকেন্ড অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছেন। নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, তাদের মেয়ের ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে তারা যখন হাঁসখালি পুলিশ স্টেশনে গিয়েছিলেন তখন পুলিশ তাদের অভিযোগে নেয়নি। বারবার তাদের থানা থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গেই নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, এই ঘটনা প্রসঙ্গে যখন তাকে পুলিশ আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তখন অভিযুক্তরা তার সামনেই বসেছিলেন। তাদের সামনে রেখেই ভয় দেখায় পুলিশ আধিকারিকরা। এই সমস্ত বিষয়গুলি পর্যালোচনা করার জন্যই হাঁসখালি থানার পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছেন তারা। সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হতেই তাদের এই সমস্ত বক্তব্য লিখিতভাবে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

আদালত সূত্রে খবর, সোমবার নির্যাতিতার বাবা মায়ের পক্ষে আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত আদালতে বলেন, ‘নির্যাতিতার বাবা-মা নিজেরাই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে কিছু বলতে চান। তাই তারা হাইকোর্টে উপস্থিত হয়েছেন। তারা যখন তাদের মেয়ের অত্যাচার প্রসঙ্গে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তখন কর্তব্যরত অভিযোগ তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এমনকি প্রথমে তাদের অভিযোগ না নিয়ে রীতিমত ভয় দেখানো হয়েছিল। ইতিমধ্যেই এই সমস্ত বিষয় পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। তারপরে বিষয়টি আর এগোয়নি।’ আইনজীবী আরো বলেছেন, ‘ইতিমধ্যেই একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে যেখানে ওই থানার আইসি এবং সেকেন্ড অফিসারকে অপসারণের আবেদন জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে এদিন হাঁসখালি নির্যাতিতার ওই পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এমন দাবি তুলেছেন অপর এক আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। এই প্রসঙ্গে আদালতে তরফ থেকে জানানো হয়েছে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে লিখিত হলফনামা জমা দিতে হবে। স্টেট লিগাল সার্ভিস অর্থনীতিকেও তার একটি কপি জমা দিতে হবে। সেই সমস্ত কাজ শেষ হলে তবেই ২৮ শে জুন হবে পরবর্তী শুনানি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *