কলকাতা: শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল বলাই যায়। অবশেষে আজ সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত রকমের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। মন্ত্রিত্ব থেকে আগেই পদত্যাগ করেছিলেন, এদিন বিধানসভা ভবনে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য চিঠি দিলেন তিনি। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইমেইল করেছেন বটে, কিন্তু মূল পদত্যাগপত্র শুভেন্দু লিখলেন নিজের হাতেই। তৃণমূলের সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন হল হাতে লেখা চিঠির মাধ্যমে।
পদত্যাগপত্রে ঠিক কি লিখেছেন শুভেন্দু? বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে নিজের পদত্যাগপত্রে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “আমার শুভেচ্ছা গ্রহন করুন। আমি বিধানসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাইছি। অনুগ্রহ করে আমার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করুন এবং যথাযথ পদক্ষেপ নিন”। যদিও এই পদত্যাগপত্র’ নিয়ে বিতর্ক রয়ে গেছে। কারণ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিধানসভায় গিয়ে তিনি আগে পদত্যাগ পত্র দেখবেন তার পরে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। কারণ তিনি জানান, শুভেন্দু অধিকারীর এই পদত্যাগ পত্র বৈধ নয়। এর কারণ হিসেবে তিনি তুলে ধরেছেন, যখন শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় গিয়ে ইস্তফা পত্র জমা দেন তখন তিনি সেখানে ছিলেন না। শুভেন্দু অধিকারী তাঁর সচিবের কাছে ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছিলেন। এইভাবে সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া যায় না বলে স্পষ্ট করেছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আপাতত শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগপত্র রয়েছে আইনি জটিলতার মধ্যে।
এদিন বিকেল চারটে নাগাদ বিধানসভা ভবনে পৌঁছে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইস্তফা দিতে চান শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেই সময় সেখানে ছিলেন না তিনি। অতঃপর স্পিকারের সচিবের কাছে সেই পদত্যাগপত্র পেশ করেন তিনি। যদিও উদ্যোগ না থাকায় তাঁর পদত্যাগপত্র এখনো পর্যন্ত গৃহীত হয়নি। সূত্রের খবর আগামী শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জনসভার মধ্যে দিয়েই বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি যে বিজেপিতে যোগদান দেবেন সে নিয়ে চর্চা প্রথম থেকেই ছিল, তবে শুধু জনসমক্ষে ঘোষণা বাকি ছিল। এখন তিনি যে বিজেপিতে যোগদান করছেন তা মোটামুটি পরিষ্কার।