তমলুক: হলদিয়া জোড়া খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়৷ এবার জড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূল শিবিরের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা তথা মন্ত্রীর নাম৷ খুনে অভিযুক্ত শেখ সাদ্দাম মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে জোরদার প্রচার৷ স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে সামনে রেখে তৃণমূলে দুস্কৃতিযোগের অভিযোগ তুলে আক্রমন শানিয়েছে বিজেপি৷ গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, অভিযুক্ত শেখ সাদ্দাম তৃণমূলের সক্রিয় নেতা ও অধিকারীর পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ৷ সোশ্যাল মিডিয়াতে একাধিক ছবি ছড়িয়ে পড়েছে৷ যদিও ভাইরাল ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আজ বিকেল ডট কম৷
দেহ উদ্ধারের পাঁচদিন পর সোমবার হলদিয়া কাণ্ডের রহস্যভেদ করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত শেখ সাদ্দাম ও শেখ মনজুরকে। তাদের হেফাজতে নেওয়ার পরই তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, মৃত রিমার (নাম পরিবর্তিত) সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল বিবাহিত সাদ্দামের। বেশ কিছুদিন ধরে বিয়ের জন্য সাদ্দামকে চাপ দিচ্ছিল রিমা ও মিরাদেবী (নাম পরিবর্তিত)। ২০ লক্ষ টাকাও দাবি করেছিল তাঁরা। টাকা না পেলে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। সেই চাপ থেকে মুক্তি পেতেই খুনের ছক।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনার সঙ্গে শাসকদলের যোগাযোগ রয়েছে, বলে দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি সরাসরি তৃণমূল মন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘হলদিয়া হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সাদ্দাম রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ডান হাত। ধৃত সাদ্দাম ‘আই সাপোর্ট টিএমসি’ নামে গ্রুপও চালাত৷ সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর একাধিক ছবি রয়েছে৷ ভোট লুট করতে গিয়ে একাধিকবার পুলিশের জালে ধরাও পড়েছিল অভিযুক্ত৷’’ তৃণমূল কর্মীর এহেন কীর্তিকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুও৷ হায়দরাবাদ কাণ্ডের সঙ্গে ঘটনার তুলনা করেন তিনি৷ প্রশ্ন তোলেন সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও৷
যদিও খুনের ঘটনার সঙ্গে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কোনও যোগ নেই৷ দলকে কালিমালিপ্ত করতেই এহেন অভিযোগ তুলছে বিজেপি, দাবি শিশির অধিকারীর৷ সবমিলিয়ে হলদিয়া কাণ্ডে সরগরম রাজ্য রাজনীতি৷